দীর্ঘ ৩৬ বছর পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। লুসাইলে শিরোপা নির্ধারণী হাইভোল্টেজ ফাইনালে নির্ধারিত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লে আলবিসেলেস্তেরা। মরুর বুকে ক্যারিয়ারের পঞ্চম বিশ্বকাপে এসে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হয়েছে সময়ের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির।
কাতার বিশ্বকাপের খেলা শেষ হয়েছে এক মাস হতে চলল। কিন্তু মেসির বিশ্বসেরা হওয়ার পেছনে লেগে গেল বিতর্কের কালো ছাপ। বিশ্বকাপ ফাইনালে বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে অসদাচরনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে ফিফা।
এবার বিশ্বকাপ ফাইনালে ধ্বংসাত্মক আচরণের শাস্তি পেতে যাচ্ছে মেসিসহ বিশ্বকাপ জেতা গোটা আর্জেন্টিনা দল। এজন্য বৈশ্বিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ফিফা জানিয়েছে, ‘বিশ্বকাপ জেতার পরে স্টেডিয়ামের যে জায়গায় মেসিদের সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে ভাঙচুর করেন তারা। মেসির নেতৃত্বে পুরো দল এই অপরাধ করেছে। এ ছাড়া সংবাদমাধ্যমের সামনে সাক্ষাৎকারও দেননি আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা।
বিশ্বকাপ জয়ের পর সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার সোনার গ্লাভস জেতেন আর্জেন্টিনা দলের গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। কিন্তু সেটি নিয়ে তখনই অশালীন ভঙ্গি করেন তিনি। এ ছাড়া নিজেদের ড্রেসিংরুমে ফ্রান্স ফুটবলার, গোল্ডেন বুটজয়ী কিলিয়ান এমবাপ্পেকেও বিদ্রুপ করেন মার্তিনেজ।
বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনায় গিয়েও এমবাপ্পেকে নিয়ে বিদ্রুপ করেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। বুয়েন্ট আয়ার্সে ছাদখোলা বাসে করে বিজয় উদযাপনের সময়ও ফরাসি তারকাকে নিয়ে বিদ্রুপে মেতে ওঠেন তিনি। এমবাপ্পের একটি কাটুন বানিয়ে সেটাকে কোলে করে নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় তাকে।
ফিফার ফেয়ার প্লের নিয়মনীতি অনুসরণ করেনি আর্জেন্টিনা দল। ফাইনালে মেসিরা খুবই ধ্বংসাত্মক আচরণ করায় আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনকে ইতোমধ্যে সব অভিযোগ জানিয়েছে ফিফা। তাই আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনকে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
শুধু ফুটবলার কিংবা ফুটবল দলই নয়, আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধেও তদন্তে নেমেছে ফিফা। মিডিয়া রুলস এবং মার্কেটিংয়ের নিয়মনীতিও ভঙ্গ করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন। তবে তদন্তের কোনো সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেয়নি ফিফা।