ফাগুনের হিমেল বাতাসে ভেসে আসা এসব মুকুলের মৌ-মৌ সৌরভের দোলায় মনকে করে তুলেছে আরো রঙ্গিণ। যে সুভাষ মানুষের মনকে বিমোহিত করার পাশাপাশি মধু মাসের আগমী বার্তা নিয়ে আসছে। সেই মুকুলের সুমসিত পাগল করা ঘ্রাণ যেন আমাদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কিছুসংখ্যক দেশীজাতের আম গাছে মুকুলের ভাড়ে ডালপালা নুয়ে পড়ছে। মুকুলের ছড়ায় মৌ-মাছির দল মধু আহরণে ছুটাছুটি করছে। আমের মুকুলের মৌ-মৌ ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে শীতল বাতাসে। কিন্তু উপজেলায় বেশিকাংশ গাছেই নেই আমের মুকুল। সিজন মতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায়, অন্যদিকে ইট ভাটার ধোঁয়ায় আম গাছে আমের মুকুল আসছে না। এমন অভিযোগ অনেকের।
উপজেলা বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন বাড়ীতে বা আম গাছের বাগানে আমের মুকুলে ঢাকা পড়েছে। এ দেখে মৌ-মৌ সৌরভে মানুষের মনকে বিমোহিত করে। এ যেন মানুষজনের নজরকাঁড়ে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল-মামুন রাসেল জানান, এ অঞ্চলে আনারসের ব্যপক চাষাবাদ থাকলেও বাণিজ্যিক আম বাগানের পরিমাণ খুবই কম। তবে সব বাড়ীতেই প্রয়োজনীয় আমগাছ রয়েছে। এসব গাছে আমের গুটি আসার পরেই পরপর দুই বার ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে গুটি আম ঝড়ে পড়া বন্ধের পাশাপাশি গাছের আম পোকামুক্ত থাকবে। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে চাষীরা ফলের আশানুরূপ ফলনও পাবেন।