বাংলাদেশ সফরে আসা মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন বিন ইসমাইল সঙ্গে বৈঠক করেছেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এ সমঝোতা বৈঠকে মূল আলোচনাই ছিল শ্রমিক রপ্তানির অচলাবস্থা। এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় উভয় দেশের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত সমঝোতা চুক্তিতে পরিবর্তন আনতে পর্যালোচনায় রাজি হয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় সাইফুদ্দিন নাসুসন বিন ইসমাইল বলেন, সমঝোতা চুক্তি নিয়ে কথা বলেছি। আজকের আলোচনার বড় অংশ নিয়ে ছিল এই চুক্তি। অভিবাসন ব্যয় আমরা কমাতে চাই। আগামীতে দুই দেশের প্রতিনিধিরা বসবেন। তারা পর্যালোচনা করবেন, সমঝোতা চুক্তিতে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে কিনা।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে এ বৈঠক হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইফুদ্দিন নাসুসন বিন ইসমাইল জানান, মালয়েশিয়ায় অনেক অবৈধ কর্মী রয়েছে। তাদেরকে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। গত মাসের ২৭ তারিখ থেকে এ প্রক্রিয়া চাল করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বৈধকরণের যত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাদের ৫৫ শতাংশ বাংলাদেশি কর্মী। মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ বিদেশি কর্মী কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশি। সেই কারণেই ১৫টি সোর্স কান্ট্রির মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন। বিদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে চায় মন্তব্য করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মূল লক্ষ্য হচ্ছে, চাহিদা পূরণ করা, ব্যয় কমানো, বিদেশি কর্মীদের সম্মান রক্ষা। যদি বর্তমান প্রক্রিয়ায় সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো না যায়, তবে মালয়েশিয়া অবশ্যই নীতিতে পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত। সেজন্য আলোচনায় বসবো আমরা।
তিনি বলেন, আজ দুটি বিষয়ে ফলপ্রসূ আলাপ হয়েছে। প্রথমত চলমান রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম আরো দ্রুত করা এবং দ্বিতীয়ত মালয়েশিয়া সরকার অভিবাসন ব্যয় কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।