রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার ধলপুরের একটি বাসায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে মো. নাহিদ মাঝি (২২) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
বুধবার (১৫ মে) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
নাহিদ শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ সদরের হারুন মিয়ার ছেলে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর ধলপুরের বাসায় ভাড়া থাকতেন। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন।
হাসপাতালে নাহিদের চাচা মো. হানিফ ব্যাপারী বলেন, নাহিদের বাবা মো. হারুন মাঝি প্রেসের ব্যবসা করেন। তবে নাহিদ কিছু করতো না। বিদেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল। বাইরে অন্য ছেলেদের সঙ্গে মিশে নেশাগ্রস্ত হয়ে পরে। এ সব বিষয় নিয়ে নাহিদের মা নাজমা বেগম নাহিদকে বকাঝকা করে। দুপুর থেকে দরজা বন্ধ করে নিজের রুমেই ছিল নাহিদ। বেলা ৩টার দিকে নাহিদের মা নাহিদকে ডাকাডাকি করে। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখে ফ্যানের সঙ্গে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে মারা যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যাত্রাবাড়ি থেকে ওই যুবককে স্বজনরা অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।ৃ