যশোরে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে দুজন খুন হয়েছেন। এরমধ্যে একজনকে পিটিয়ে আর অপরজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে যশোরের রাজারহাট রামনগরের সুতিঘাটা এলাকায় গণপিটুনিতে ফয়েজুল গাজী নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি যশোর সদর উপজেলার গোলদার পাড়া সতীঘাটা গ্রামের জালাল উদ্দিন গাজীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চত করেছেন কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।
পুলিশ জানিয়েছে, যশোরের রাজারহাট রামনগরের সুতিঘাটা এলাকায় চোর সন্দেহে ফয়েজুলকে মারপিট করা হয়। পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, ফয়েজুল গাজী একটি ইটভাটায় কাজ করেন। ভাটা থেকে কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয়রা তাকে ধরে নিয়ে একটি কারখানার মধ্যে দড়ি দিয়ে বেঁধে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে মারপিট করেন। ফয়েজুল গাজী এ ধরনের কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত নন।
এ দিকে গেল রাতে যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার আলোচিত সন্ত্রাসী জুম্মান সরদার রেলস্টেশন জামে মসজিদ এলাকায় খুন হয়েছেন। ১৫ মামলার আসামি জুম্মান সরদারের হত্যাকারীদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। নিহত জুম্মান সরদার শংকরপুর জোয়ারদারপাড়ার মুরাদ সরদারের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, রেলস্টেশনের বিপরীত দিকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন জুম্মান। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার বাম উরুতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জুম্মানের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে। তার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের আটক এবং কী কারণে, কারা তাকে খুন করেছে, তা উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।