স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চীন। শক্তিশালী টাইফুন ডকসুরির প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া এই বন্যায় ডুবে গেছে দেশটির রাজধানী বেইজিংসহ উত্তরাঞ্চল। টানা বর্ষণে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আগে ভারতেও বন্যার ফলে ক্ষয়ক্ষতি দেখেছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চল। এবার ভারত ও চীনের পর বাংলাদেশেও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি আগস্ট মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতে নিম্নঞ্চল তলিয়ে যেতে পারে।
প্রতি বছর গ্রীষ্মে চীনের বিশাল অংশজুড়ে বন্যা দেখা দেয়। তবে চলতি গ্রীষ্মে দেশটির উত্তরাঞ্চল ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে।
বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের আশপাশের এলাকা। বন্যার পানি ঢুকেছে অনেক এলাকার বাড়িঘরে, ভেঙে গেছে রাস্তাঘাট। পানির তোড়ে ভেসে গেছে অনেক গাড়ি। মাইলের পর মাইল ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। হঠাৎ এমন বন্যা দেশটির সাধারণ মানুষের জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
গ্রীষ্মকালে বেইজিংয়ে সাধারণত মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি হয়। তবে গেল কয়েক দিন ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। যদিও চলতি মৌসুমে রেকর্ড-ভাঙা উচ্চতাপমাত্রা দেখেছে বেইজিং। এছাড়া চীনের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায়গুলোতে ভারি বৃষ্টি খুব কমই দেখা যায়।
গেল মাসের শুরুর দিকে দেশটির দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় চংকিং অঞ্চলে বন্যায় অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানি হয়। ওই সময় দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় লিয়াওনিং প্রদেশ থেকে ৫ হাজার ৫শ ৯০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক বাসিন্দা বাড়িঘর ও যানবাহনে আটকা পড়েন। হতাহত হয়েছে প্রায় দেড়’শ মানুষ। চীনের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ও ধ্বংসাত্মক বন্যা দেখা দিয়েছিল ১৯৯৮ সালে। ওই বছর বন্যায় চীনে ৪ হাজার ১৫০ জন প্রাণ হারান।
এর আগে ভারতে বৃষ্টি ও বন্যায় প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে চলতি আগস্ট মাস জুড়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে দেশের নিম্নাঞ্চল বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ভারত ও চীনের পর বাংলাদেশও প্রবল বন্যার কবলে পড়তে পারে।