ঢাকা , রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

ভুয়া এনজিও খুলে টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ২

  • নওগাঁ প্রতিনিধি
  • আপলোড সময় : ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ২৪৬ বার দেখা হয়েছে।

নওগাঁর পোরশায় ঋণ দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভুয়া এনজিও ‘সাকো’র নির্বাহী পরিচালকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে র‌্যাব-৫ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার সরাইগাছি বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার কালাইবাড়ি গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৯) ও সরাইগাছী এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৫৭)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তার মাসুদ রানা, তোফাজ্জল হোসেন ও জহুরুল ইসলাম সরাইগাছি বাজারে একটি অফিস ভাড়া নিয়ে ‘সাকো’ নামে একটি এনজিও খুলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মাসিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে জুডিশিয়াল ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে এফডিআর খুলে লাখ লাখ টাকা আদায় করে। শুরুতে প্রথম দুই এক মাস মুনাফা প্রদান করে এবং পরবর্তীতে মুনাফা প্রদান করা বন্ধ করে দেয়। ফলে গ্রাহকরা তাদের জমা করা টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করে।

পরবর্তীতে এনজিও-এর এমডি মূলহোতা মাসুদ রানা ও নির্বাহী পরিচালক জহুরুল ইসলামের কাছে মুনাফা চাইতে গেলে তারা টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করে। পরে আসল টাকা ফেরত চাইলে আজ দেব কাল দেব বলে কালক্ষেপণ করে। কিন্তু টাকা ফেরত দেয় না।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ ব্যাপারে সাপাহার ও পোরশা উপজেলার প্রায় আট-দশজন ভুক্তভোগী র‌্যাব ক্যাম্প জয়পুরহাটে এসে তাদের সঙ্গে সাকো এনজিও প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে র‌্যাব-৫, জয়পুরহাট ছায়া তদন্ত শুরু করে।

ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায়, এনজিওর এমডি মাসুদ রানা ও জহুরুল ইসলাম সবকিছু বিক্রি করে ১৬ তারিখে পালিয়ে যাবে। এরপর মঙ্গলবার সরাইগাছি বাজারে গিয়ে হাতে নাতে জুডিশিয়াল ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পসহ মাসুদ রানা ও মাঠকর্মী তোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় নির্বাহী পরিচালক জহুরুল ইসলাম র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে পোরশা থানায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

ভুয়া এনজিও খুলে টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ২

আপলোড সময় : ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নওগাঁর পোরশায় ঋণ দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভুয়া এনজিও ‘সাকো’র নির্বাহী পরিচালকসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে র‌্যাব-৫ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার সরাইগাছি বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার কালাইবাড়ি গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (২৯) ও সরাইগাছী এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৫৭)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তার মাসুদ রানা, তোফাজ্জল হোসেন ও জহুরুল ইসলাম সরাইগাছি বাজারে একটি অফিস ভাড়া নিয়ে ‘সাকো’ নামে একটি এনজিও খুলে জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মাসিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে জুডিশিয়াল ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে এফডিআর খুলে লাখ লাখ টাকা আদায় করে। শুরুতে প্রথম দুই এক মাস মুনাফা প্রদান করে এবং পরবর্তীতে মুনাফা প্রদান করা বন্ধ করে দেয়। ফলে গ্রাহকরা তাদের জমা করা টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করে।

পরবর্তীতে এনজিও-এর এমডি মূলহোতা মাসুদ রানা ও নির্বাহী পরিচালক জহুরুল ইসলামের কাছে মুনাফা চাইতে গেলে তারা টাকা দিতে টালবাহানা শুরু করে। পরে আসল টাকা ফেরত চাইলে আজ দেব কাল দেব বলে কালক্ষেপণ করে। কিন্তু টাকা ফেরত দেয় না।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এ ব্যাপারে সাপাহার ও পোরশা উপজেলার প্রায় আট-দশজন ভুক্তভোগী র‌্যাব ক্যাম্প জয়পুরহাটে এসে তাদের সঙ্গে সাকো এনজিও প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে র‌্যাব-৫, জয়পুরহাট ছায়া তদন্ত শুরু করে।

ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানা যায়, এনজিওর এমডি মাসুদ রানা ও জহুরুল ইসলাম সবকিছু বিক্রি করে ১৬ তারিখে পালিয়ে যাবে। এরপর মঙ্গলবার সরাইগাছি বাজারে গিয়ে হাতে নাতে জুডিশিয়াল ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পসহ মাসুদ রানা ও মাঠকর্মী তোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় নির্বাহী পরিচালক জহুরুল ইসলাম র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে পোরশা থানায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা দায়ের করেন।