আজ ভিক্ষা জীবনের পরিসমাপ্তি করলেন শাহীন হোসেন। একসময় পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায় বৈদ্যুতিক লাইনে কাজ করতেন। একদিন বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনায় মারাত্মত আহত হন তিনি। চিকিৎসা করতে গিয়ে তার দুই পা ও একটি হাতে কেটে ফেলতে হয়। পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় কর্মঠ শাহীন হোসেনকে। তারপর থেকে শাহীন ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদরা গ্রামের আনসার আলী প্রামানিকের ছেলে শাহীন হোসেন সমাজের চোখে ভিক্ষুক হিসেবে পরিচিতি পান।
পঙ্গুত্ব বরণকারী প্রতিবন্ধী শাহীন ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া নিজেই কোন কাজ করবে-এমনটা আশা ছিল। সে আশা পূরণ করলো চাটমোহর উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর। এই দপ্তরের ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে শাহীন হোসেনকে দেওয়া হলো একটি নতুন মুদি দোকান ঘরসহ দোকানে বিক্রির মালামাল।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলঅর মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামে শাহীনের বাড়ির পাশে নতুন দোকানঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়। উপজেলা প্রসাশন ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে শাহীন হোসেনকে এ দোকানঘর ও দোকানের মালামাল প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সুলতান আহমেদ,সমাজসেবা কর্মকর্তা মো রেজাউল করিম,মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহ আলম প্রমূখ।
নতুন দোকান ঘরসহ মালামাল পেয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পঙ্গু শাহীন হোসেন জানান,আমি ভাবতেও পারিনি আবারও কাজ করে খেতে পারবো।,ভিক্ষা বাদ দেবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এ দোকানঘর পেয়ে আমি খুব খুশি। এখন থেকে আর মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে ভিক্ষা করতে হবে না। সমাজে ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারবো। ইউএনও,চেয়ারম্যান আর সমাজসেবা অফিসার স্যারের এ উপকারের কথা কোনদিন ভুলবো না।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো রেজাউল করিম হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম কে জানান,ভিক্ষুক শাহীন বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনায় পড়ে তার দুই পা ও একটি হাতে হারায়। তারপর থেকে সে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মুদি দোকানের মাধ্যমে শাহীন স্বাবলম্বী হতে পারবে এবং সমাজে তার মর্যাদা ফিরে আসবে। সরকারের ভিক্ষুক পুর্নবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান একটি চলমান কর্মসূচি আগামীতে এ ধারা চলমান থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহল হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম কে বলেন,শাহীন ছিল কাজের ছেলে। দূর্ঘটনার কারণে তাকে ভিক্ষাবৃত্তি করতে হয়েছে। আশাকরি এখন সে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে ব্যবসা করে আয় করে পরিবারের সদস্য নিয়ে সুখী জীবন যাপন করবে এবং তার জীবনের মঙ্গল কামনা করছ