ঝালকাঠিতে সিমেন্টবোঝাই ট্রাক-প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার গাবখান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের বেশির ভাগই বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। তাৎক্ষণিক হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
আহতদের মধ্যে ১১ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং কয়েকজনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থাই গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আহতদের মধ্যে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন দুজন। বাকিরা ঝালকাঠিতেই মারা গেছেন।
বরিশালে মারা যাওয়া দুজন হলেন- পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার মেসন্ডা এলাকার সুবিদ আলী হাওলাদারের ছেলে মো. রুহুল আমিন (৭০) এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার রামনগর এলাকার বাদশা মিয়ার প্রতিবন্ধী ছেলে মো. শহীদুল ইসলাম (৩৫)।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট হাট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ কামাল হোসেন বলেন, ব্যাটারিচালিত চারটি ইজিবাইক ও একটি মাইক্রোযোগে প্রায় ২৫ জন নিয়ে গাবখান ইউনিয়নের ওস্তাখাল গ্রামে বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। আমার শ্যালিকার বৌভাতের আয়োজন ছিল। পথে গাবখান টোলে গাড়িগুলো টোল দিচ্ছিল। এরই মধ্যে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক পেছন থেকে আমাদের গাড়িগুলো, পথচারী ও টোলকর্মীদের চাপা দেয়।
শেখেরহাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতফি আহম্মেদ বলেন, আমার ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ কামাল হোসেনের শ্যালিকার বৌভাতে যাচ্ছিল। কামাল হোসেন আমাকে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১০ জন নিজের পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্মদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ১৪ জন নিহতের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি। পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। উদ্ধারকাজ শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।