ঢাকা , শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

বেতন নিয়ে ঘরে ফেরা হলো না ইউসুফের

ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সড়ক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ ইউসুফ (১৬) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ইউসুফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, ইউসুফ বরিশালের নলছিটি উপজেলার ক্ষিরকাঠি গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। হাজারীবাগের গজমহল রোডে ভাড়া থাকত। সে এলিফ্যান্ট রোডের একটি জুতার দোকানে কাজ করত।

 

ইউসুফের বাবা বলেন, আমার দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে ইউসুফ ছিল সবার ছোট। আমার মধ্যবিত্তের পরিবার। দুইটা রিকশা আছে, ভাড়া দেই আর এই ছেলে যা বেতন পায় তা দিয়েই সংসার চলে। মেয়েটারে ধানমন্ডির একটি কলেজে লেখাপড়া করে। গতকাল রাতে দোকানে বেতন আনতে গিয়েছল ইউসুফ। সেখান থেকে এলিফ্যান্ট রোডে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি নোহা মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে চিকিৎসক জানায় আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আমি ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে দেখি আমার বাবায আর নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

বেতন নিয়ে ঘরে ফেরা হলো না ইউসুফের

আপলোড সময় : ০৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে সড়ক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ ইউসুফ (১৬) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ইউসুফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, ইউসুফ বরিশালের নলছিটি উপজেলার ক্ষিরকাঠি গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। হাজারীবাগের গজমহল রোডে ভাড়া থাকত। সে এলিফ্যান্ট রোডের একটি জুতার দোকানে কাজ করত।

 

ইউসুফের বাবা বলেন, আমার দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে ইউসুফ ছিল সবার ছোট। আমার মধ্যবিত্তের পরিবার। দুইটা রিকশা আছে, ভাড়া দেই আর এই ছেলে যা বেতন পায় তা দিয়েই সংসার চলে। মেয়েটারে ধানমন্ডির একটি কলেজে লেখাপড়া করে। গতকাল রাতে দোকানে বেতন আনতে গিয়েছল ইউসুফ। সেখান থেকে এলিফ্যান্ট রোডে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি নোহা মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে চিকিৎসক জানায় আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আমি ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে দেখি আমার বাবায আর নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।