বিশ্বকাপ খেলা চলাকালে পাবনায় তুফান হেসেন (৩২) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়েছে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পূর্ব বিরোধের জেরে রোববার রাত পৌনে ১০টার দিকে পাবনা পৌর সদরের কাশিপুর বটতলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহত তুফান কাশিপুর বটতলা এলাকার নাছিম হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তুফানের সঙ্গে আগের একটি মারামারির ঘটনা নিয়ে বিরোধ ছিল নাজিরপুর হাটপাড়া গ্রামের মৃত দুদু প্রামাণিকের ছেলে নিশান, হেমায়েতপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার আজমত আলীর ছেলে রাজু হোসেন, কাশিপুর সাধু খাঁর বটতলা এলাকার দেলবার হোসেনের ছেলে রাশেদসহ কয়েকজনের। রোববার রাতে কাশিপুর মোড়ে বড় পর্দায় বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখছিলেন তারাসহ এলাকাবাসী।
খেলার এক ফাঁকে পূর্ববিরোধের সূত্র ধরে তুফানকে ডেকে একটু দূরে নিয়ে যায় রাশেদ, নিশান, রাজুসহ তার সহযোগীরা। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তুফানকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। তার চিৎকারে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত তুফানের চাচা রমজান শেখ, স্থানীয় বাসিন্দা বকুল, টুটুল শাকিলসহ কয়েকজন জানান, নিশান ও তার সহযোগীরা এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত। এ কাজে তাদের বাধা দিয়েছিল তুফান। এ ঘটনায় কিছুদিন আগে নিশানকে মারপিট করে তুফানসহ অন্যরা। সেই বিরোধের জের ধরে রোববার রাতে খেলা চলাকালে চিৎকার চেঁচামেচির এক ফাঁকে তুফানকে ডেকে নিয়ে পাশের দোকানের আড়ালে নিয়ে যায় নিশান, রাশেদ, সুইট, কালাম, রাজু ও মাহিন। পরে তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনার সঙ্গে বিশ্বকাপের খেলা নিয়ে কোনো বিরোধ হয়নি।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলাকারীদের সনাক্ত ও তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।