গ্যাস কয়লা প্রাকৃতিক সম্পাদ যা আমাদের যতেষ্ঠ রয়েছে। বিভন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে কয়লা খনি,গ্যাসের খনি সন্ধান পাওয়া গেছে মর্মে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।তবে কেনো প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে, এতে জনজীবনে সরাসরি প্রভাব না পরলেও পরোক্ষভাবে এর প্রভাব পড়বে। বর্তমানে অর্থনীতির যা অবস্থা তাতে বিদ্যুতের পর গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে দেশের মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। তবে এই দাম বৃদ্ধির ফলে সরকারের ভর্তুকি কমবে। প্রতি মাসেই খাদ্য-পণ্যের দাম বাড়ছে। সরকার বলছেন বিপুল পরিমাণ আর্থিক ঘাটতি মেটাতে দাম বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ার ফলে সব ধরনের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর গত ১৮ জানুয়ারি রাতে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভর্তুকি সমন্বয় ও গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির যুক্তি দেখিয়ে গত বছর আগস্টে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে সরকার। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার-প্রতি ৮০ টাকা বাড়িয়ে ১১৪, পেট্রোল ৮৬ থেকে ১৩০ এবং অকটেনের দাম ৮৯ থেকে বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কয়েক দিনের মাথায় লিটার-প্রতি দাম ৫ টাকা কমিয়ে যথাক্রমে ১০৯, ১২৫ ও ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। পরে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেনি। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কয়েকদিনের মাথায় ১৮ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশে গ্যাসের দাম খাত ভেদে ১৪ থেকে ১৭৮ শতাংশ বাড়ানো হয়। প্রতিদিন ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানির কথা জানিয় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় পেট্রোবাংলা। বিইআরসি গত জুনে ওই প্রস্তাবের ভিত্তিতে গ্যাসের দাম প্রায় ২৩ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। তখন প্রতিদিনের জন্য আমদানি ধরা হয়েছিল দিনে ৬৮০ মিলিয়ন ঘনফুট। এখন দিনে এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে গড়ে ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। সরকার গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি সমন্বয় করতে চাইছে। এজন্য বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা দরকার। এ অবস্থায় চড়া দামে বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানি করে চাহিদামত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা অসম্ভব। সুতরাং বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতকে বাণিজ্যিকীকরণ মুক্ত করতে হবে। নিজস্ব জ্বালানি সম্পদের উন্নয়ন অব্যাহত রাখাসহ সাশ্রয়ী হতে হবে। গ্যাসের দাম বাড়ানোয় ছোট-মাঝারি শিল্প সংকটে পড়বে। সুতরাং এই জায়গায় প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ। তাই আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী খুব দ্রুতই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে। স্বস্তি আসবে শিল্পখাতে এবং পরোক্ষভাবে এর প্রভাবমুক্ত হবে সাধারণ মানুষের। তবেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় আসবে পরিবর্তন।