পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার ক্ষেত্রে বাদামের কোনো বিকল্প হয় না। তাই দিনে তিনবার ভারী খাবারের মাঝেও টুকটাক মুখ চালানোর জন্য বাদাম খুব ভালো বিকল্প হতে পারে। বাদামে (কাঁচা বা ভাজা) থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হার্টের জন্য বিশেষ উপকারী। কিন্তু বাদাম খাওয়া ভালো বলেই যে মুঠো মুঠো বাদাম খেয়ে যাবেন, তা কিন্তু হবে না।
প্রতিদিন বাদাম খাওয়ারও নির্দিষ্ট পরিমাপ আছে। কোনো বাদামে ফ্যাটের পরিমাণ কত এবং সারাদিনে আপনার খাওয়ার তালিকায় ফ্যাট পরিমাণ কেমন থাকে, তা বুঝে বাদামের সংখ্যা নির্ধারণ করা উচিত।
কাঠবাদাম
প্রতিদিন শরীরে যতটা পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হয়, শুধুমাত্র কাঠবাদাম খেলেই তা পূরণ হয়ে যেতে পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে প্রতিদিন ১৪টা পর্যন্ত কাঠবাদাম খাওয়া যেতে পারে।
কাজুবাদাম কাজুবাদামে রয়েছে অ্যানাকার্ডিক অ্যাসিড; যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও দাঁতের এবং মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখে কাজুবাদাম। তবে, সারাদিনে ১১টার বেশি কাজুবাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়।
পেস্তাবাদাম ওষুধ ছাড়া একমাত্র পেস্তাবাদামই হৃদযন্ত্রের ধমনী বা রক্তবাহিকার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ‘বি-৬’ এবং থায়ামিনের মতো বহু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আছে পেস্তাবাদামে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সারাদিনে ২০টা পেস্তাবাদাম খাওয়া যেতে পারে।
হেজেলনাট বিভিন্ন ধরনের চকোলেট, কেক, কফিতে হেজেলনাটের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ভিটামিন ‘ই’ এবং ওমেগা৩-এ ভরপুর এই বাদাম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলকেও কাবু করতে পারে হেজেলনাট। কিন্তু সারা দিনে ১০টার বেশি খাওয়া উচিত নয়।
আখরোট আখরোটে ফ্যাটের পরিমাণ ৬৫ শতাংশ এবং প্রোটিনের পরিমাণ ১৫ শতাংশ। বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর আখরোট হার্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া আখরোট খেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। কিন্তু দিনে চারটার বেশি খাওয়া উচিত নয়।