ফেনীর সদরে ৫ হাজার ৩৯৮ টিউবওয়েলে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। এসব টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার না করতে জনস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর জন্য নিরাপদ পানি সহজলভ্য করতে উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় এ তথ্য জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উপজেলা জনস্বাস্থ্যের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান পারভেজ।
উপজেলা পরিষদ ও জনস্বাস্থ্য সূত্র জানায়, জেলা সদরের ১২ ইউনিয়নের ১০৮টি ওয়ার্ডে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৩২১ মানুষের বসবাস। এসব এলাকায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার গভীর-অগভীর টিউবওয়েল রয়েছে। পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের আওতায় আর্সেনিক স্ক্রিনিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০২২ সালের জুন থেকে পানির পরীক্ষা করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
সূত্র আরও জানায়, এ প্রকল্পে প্রথম ধাপে ২৯ হাজার ৬৩৩টি টিউবওয়েলের পানি পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৩৯৮টি টিউবওয়েলে আর্সেনিক মিলেছে। মাত্রাতিরিক্ত ঝুঁকিতে রয়েছে ৫ শতাধিক টিউবওয়েল। লেমুয়া, ফাজিলপুর, ছনুয়া ইউনিয়নে আর্সেনিক পাওয়া টিউবওয়েলের সংখ্যা বেশি।