দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। বিকালেই সেই ফলাফল স্থগিত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের সিস্টেম অ্যানালিস্ট অনুজ কুমার রায় প্রাইমারি অ্যাসিসটেন্ট টিচার্স ইউনিটি প্ল্যাটফর্ম, বিডি নামের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দেন,সকল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারগণকে জানানো যাচ্ছে যে, অদ্য প্রেরিত প্রাথমিক বৃত্তি ফলাফলটি আপাতত প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সংশোধিত ফলাফল প্রেরণ করা হবে।
বৃত্তির ফলাফল স্থগিতের খবর জানাজানির পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থেকে শুরু করে সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট সহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকাপ্রকাশ-এর পক্ষ থেকে প্রকাশিত বৃত্তির ফলাফল স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত হতে বেশ কয়েকটি জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ হলে তারা প্রত্যেকে জানিয়েছেন, সারা দেশের প্রাথমিক জেলা কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে প্রকাশিত ফলাফল স্থগিতের কথা জানানো হয়েছে। এর বেশি আর কোনো তথ্য দিতে বা কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তারা।
অবশ্য একাধিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ফলাফল স্থগিত করার ঘটনা বড় ধরনের বিপর্যয়। যারা বৃত্তি পেয়েছে নতুন ফলাফলে যদি তাদেরটা বাতিল হয় তাহলে যেমন কোমলমতি শিক্সার্থীদের মনে বড় আঘাত দেবে, তেমনি যারা যোগ্যতা অর্জন করার পরও কোড ভুলের কারণে বৃত্তি পাননি তাদের জন্য এটি পীড়াদায়ক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৃত্তির ফলাফলে কোডে বড় ধরনের ভুলের কারণে বৃত্তির ফলাফলে ভুল হয়েছে। এ কারণেই ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে প্রাথমিকের বৃত্তির ফলাফল ঘোষণা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিেক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রাথমিক বৃত্তি ২০২২ এর ফলাফল পুনর্যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ায় প্রকাশিত ফলাফল স্থগিত হরা হয়। বুধবার (১ মার্চ) এ ফল প্রকাশিত হবে।
প্রকাশিত ফলাফলে সারা দেশে মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিকের বৃত্তি লাভ করে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে পেয়েছে ৩৩ হাজার এবং সাধারণ গ্রেডে ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন।