ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নাশকতাকারী বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা

ছবি : সংগৃহীত

রাত পোহালেই ভোট। সকাল থেকে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই ভোটযুদ্ধ। এরই মাঝে নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা দেশব্যাপী তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। আন্দোলনের অন্তরালে সক্রিয় হয়ে উঠেছে নাশকতাকারীরা।

শুক্রবার রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার মধ্য দিয়ে সারাদেশে হরতাল-অবরোধের নামে সহিংসতা করেছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। ঠিক সেভাবেই নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার একাংশ) আসনেও সক্রিয় রয়েছে হরতাল-অবরোধের সমর্থনকারী এই নাশকতাকারীরা।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পণ্ড করতে যারা আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে, সেই বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার অনেক এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

 

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা সারাদেশের ন্যায় সেনবাগ ও সোনাইমুড়ীতেও নাশকতা কর্মকাণ্ড চালাতে সক্রিয় রয়েছে। মূলত নৌকাবিরোধী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের আশ্রয়ে বিএনপি-জামায়াতের এই নাশকতাকারীরা প্রকাশ্যে এলাকায় অবস্থান করছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে নৌকার কর্মীদের ওপর হামলা করছে। এই নাশকতাকারীদের নামে একাধিক মামলা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অদৃশ্য কারণে নীরব রয়েছে।

 

আওয়ামী লীগের এই নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান করতে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি-জামায়াতের এই নাশকতাকারীদের শেল্টার হিসেবে কাজ করছেন। নৌকার অফিস ভাঙচুর ও নৌকার সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের এই নাশকতাকারীরা। দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত এদের বিরুদ্ধে আইনতগত ব্যবস্থা নেওয়া।

 

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোনাইমুড়ীর বজরা ইউনিয়নের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মানিকের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। আমার বাড়িতে এসে প্রকাশ্যে মানিকের পক্ষ নিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জন্য আমাকে হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতারা। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। হয়তো পরিবার নিয়ে ভোট দিতেও যেতে পারবো না।

 

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার স্থানীয় বিএনপির নেতারা।

 

অভিযোগের বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

উল্লেখ্য, রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে সারা দেশে শুরু হবে ভোটযুদ্ধ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আর এই ভোটগ্রহণ উপলক্ষে শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নাশকতাকারী বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা

আপলোড সময় : ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

রাত পোহালেই ভোট। সকাল থেকে শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই ভোটযুদ্ধ। এরই মাঝে নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা দেশব্যাপী তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। আন্দোলনের অন্তরালে সক্রিয় হয়ে উঠেছে নাশকতাকারীরা।

শুক্রবার রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার মধ্য দিয়ে সারাদেশে হরতাল-অবরোধের নামে সহিংসতা করেছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। ঠিক সেভাবেই নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার একাংশ) আসনেও সক্রিয় রয়েছে হরতাল-অবরোধের সমর্থনকারী এই নাশকতাকারীরা।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পণ্ড করতে যারা আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে, সেই বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার অনেক এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

 

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা সারাদেশের ন্যায় সেনবাগ ও সোনাইমুড়ীতেও নাশকতা কর্মকাণ্ড চালাতে সক্রিয় রয়েছে। মূলত নৌকাবিরোধী স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের আশ্রয়ে বিএনপি-জামায়াতের এই নাশকতাকারীরা প্রকাশ্যে এলাকায় অবস্থান করছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে নৌকার কর্মীদের ওপর হামলা করছে। এই নাশকতাকারীদের নামে একাধিক মামলা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অদৃশ্য কারণে নীরব রয়েছে।

 

আওয়ামী লীগের এই নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান করতে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি-জামায়াতের এই নাশকতাকারীদের শেল্টার হিসেবে কাজ করছেন। নৌকার অফিস ভাঙচুর ও নৌকার সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের এই নাশকতাকারীরা। দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত এদের বিরুদ্ধে আইনতগত ব্যবস্থা নেওয়া।

 

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোনাইমুড়ীর বজরা ইউনিয়নের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মানিকের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। আমার বাড়িতে এসে প্রকাশ্যে মানিকের পক্ষ নিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জন্য আমাকে হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতারা। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। হয়তো পরিবার নিয়ে ভোট দিতেও যেতে পারবো না।

 

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার স্থানীয় বিএনপির নেতারা।

 

অভিযোগের বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

উল্লেখ্য, রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে সারা দেশে শুরু হবে ভোটযুদ্ধ, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আর এই ভোটগ্রহণ উপলক্ষে শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।