1. admin@handiyalnews24.com : admin :
  2. tenfapagci1983@coffeejeans.com.ua : cherielkp04817 :
  3. ivan.ivanovnewwww@gmail.com : leftkisslejour :
   
চাটমোহর,পাবনা মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১১:৪৬ অপরাহ্ন

পশ্চিমাদের পাশ কাটিয়ে শেখ হাসিনার পাশে জাপান

হান্ডিয়াল নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ , ৬.৪২ অপরাহ্ণ
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী‌কে অ‌ভিনন্দন জানান ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত (ফাইল ফটো)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দ্রুত গতিতে জাপান যেভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন সেটিকে ‘অপ্রত্যাশিত’ বলছেন বিশ্লেষকরা। এর বড় কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপান। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলেছে। তাই অনেকে ভেবেছিল জাপানও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। কিন্তু পশ্চিমাদের পাশ কাটিয়ে জাপান নির্বাচন প্রক্রিয়াটাকে গ্রহণ করেছে ইতিবাচকভাবে।

বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মিত্রদের প্রতিক্রিয়া দেওয়া পর্যন্ত জাপান অপেক্ষা করেনি। অথচ, বছর দেড়েক আগে ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন।

 

প্রশ্ন হচ্ছে, এত দ্রুত জাপানের অবস্থান বদলে গেল কেন? এর পেছনে কী কারণ থাকতে পারে? বাংলাদেশ নিয়ে জাপানের দৃষ্টিভঙ্গিও কি ভারত, রাশিয়া ও চীনের মতো হয়েছে? এসব নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

 

সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবির মনে করেন, জাপান নির্বাচন প্রক্রিয়াটাকে গ্রহণ করেছে ইতিবাচকভাবে। তিনি বলেন, ‘এখানে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে, বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে কিন্তু খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গা এখানে হয়েছে। বড় বড় প্রজেক্টগুলো যদি দেখেন এক্সপ্রেসওয়ে করেছে চাইনিজরা, মেট্রোরেল করেছে জাপানিরা, পদ্মাসেতু করেছে চাইনিজরা।

 

তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষ্য করবেন, আমাদের যে প্রয়োজন আমাদের যে চাহিদা সেই প্রয়োজনের যোগান দেয়ার মতো একটা কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা কিন্তু আছে। চীনারা যখন এই ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, জাপান কিন্তু তার জাতীয় স্বার্থের আলোকে সেখানে পিছিয়ে থাকতে চায়নি।

 

তার মতে, জাপানকে পশ্চিমা জগতের সহযোগী হিসেবে না দেখে চীন এবং জাপানকে পাশাপাশি দেখলে বুঝতে সুবিধা হবে কেন জাপান পশ্চিমা জগত থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব অবস্থান নিলো। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক দেশ তার নিজস্ব জাতীয় স্বার্থ এবং আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক অগ্রাধিকারের আলোকেই বাংলাদেশেকে তাদের পররাষ্ট্র নীতির অংশীদার হিসেবে চিন্তা করে। চীন-জাপান তার ব্যতিক্রম নয়। দুই দেশেরই দৃষ্টিভঙ্গিটা মূলত অর্থনীতি কেন্দ্রিক। কারণ তারা জানে এখানে বিনিয়োগের একটা বড় সুযোগ আছে। সেই সুযোগটা তারা কাজে লাগাতে চায়।

 

নয়া দিল্লির রিসার্চ অ্যান্ড ইফরমেশন সিস্টেমে ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজ এর অধ্যাপক প্রবীর দে মনে করেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক ‘অর্গানিক’। তৃতীয় কোন দেশের এতে প্রভাব নেই। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এই সম্পর্কটা গড়ে উঠেছে।

 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত, চীন, জাপানের প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানানোর ক্ষেত্রে সাদৃশ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, বাংলাদেশের নির্বাচন ও নতুন সরকারের ব্যাপারে তাদের সবার অবস্থানই ইতিবাচক।

 

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে, বিশেষতঃ দ্বিপাক্ষিক আর্থিক সাহায্যের ক্ষেত্রে জাপান বরাবরই সবচেয়ে বড় সহযোগী ছিলো। বাংলাদেশে এ মুহূর্তে তিনশ’র বেশি জাপানি কোম্পানি কাজ করছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।