রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা দারুস সালাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, ইসি আনিছুর রহমান ধানমন্ডির ঢাকা সিটি কলেজে, ইসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান মিরপুর ডিওএইচএসের মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবং ইসি মো. আলমগীর উত্তরা দিয়াবাড়ির একটি কেন্দ্রে ভোট দেবেন।
এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতি ও তার সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা ওই দিন দুপুরে বঙ্গভবনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করেন।
ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিকেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য।
এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে।
এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি।
এদিকে, বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবোরধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।