বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে’ অনুষ্ঠানে সহায়তার জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি জে ব্লিনকেন আজ বুধবার বাংলাদেশিদের জন্য ভিসায় বিধিনিষেধের কথা জানান।
এই নীতির আওতায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ‘বাধাগ্রস্ত’ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা হলে যেকোনো বাংলাদেশিকে ভিসা দেওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘বাধা’ যেসব কাজ
কোন কোন কাজ গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, তার একটি তালিকাও তুলে ধরেছেন ব্লিণকেন।
* ভোট কারচুপি
* ভোটারদের ভয় দেখানো
* সহিংসতার মাধ্যমে জনগণের সংঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া
* রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে মতামত প্রচার থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে সাজানো নানা পদক্ষেপ নেওয়া।
এসব কাজ করলে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হতে পারেন যাঁরা
গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজ করা যেকোনো বাংলাদেশি ভিসার বিধিনিষেধের আওতায় পড়তে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যাঁদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন—
* বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী
* সরকারপন্থী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য
* আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য
গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে নতুন ভিসা নীতির কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে ব্লিনকেন বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ সবার। যাঁরা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চান, তাঁদের সবাইকে সমর্থন দিতে আমি এই নীতি ঘোষণা করছি।