ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামে জমিলা খাতুন ওরফে ওজোলা (৪০) নামে এক নারীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আব্দুল করিম নামে এক প্রতিবেশী।শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে ওই গ্রামের উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওজোলা খাতুন একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম, ছেলে সাইদুল ইসলাম মান্নান ও প্রতিবেশী জাকিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের গৃহবধূ জমিলা খাতুনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল আবদুল করিম নামে এক ব্যক্তির। সকালে ওই বাড়িতে এসেছিল আবদুল করিম। এ সময় ওই নারীকে গলা কেটে হত্যা ও আবদুল করিমকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী জামিলা খাতুন ওরফে ওজেলাকে হত্যার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বাড়ির গোসলখানার ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত আব্দুল করিমকে তার স্বজনরা উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আহত আব্দুল করিম জানায়- ভোরে তাদের দুজনকে দেখে ফেলে জমিলার স্বামী শরিফুল ইসলাম ও প্রতিবেশী জাকির। পরে তারা জমিলাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় তাকেও কুপিয়ে জখম করে তারা। তবে সঠিক বিষয়টি জানার জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরকীয়ার কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম, তার ছেলে সাইদুল ইসলাম মান্নান ও জাকির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।