এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পোশাকে বৈচিত্র্য আনা, উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, পণ্যের উদ্ভাবন, নতুন বাজার খুঁজে বের করা এবং পোশাক কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি তৈরি পোশাকের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলা করে তৈরি পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বড় বড় ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে বড় পরিমাণ ক্রয়াদেশ পাচ্ছে পোশাক খাত। এটি শুভ লক্ষণ। তবে উচ্চ সুদহার, মূল্যস্ফীতি, ভবিষ্যৎ ভূ-অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির হার কমে যাওয়া ও জটিল আর্থিক পরিস্থিতির কারণে আসন্ন মাসগুলোতে বাংলাদেশে এই খাতের রপ্তানি কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। কারণ বিশ্ব অর্থনীতিও বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের নানা পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে ভবিষ্যতে পোশাকে বৈচিত্র্য আনা, লিড টাইম কমানো, দক্ষতা বৃদ্ধি, কার্যকর গবেষণা ও উন্নয়ন, নতুন বাজার খোঁজা, শ্রমশক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি ও উৎপাদন প্রক্রিয়ার আধুনিকীকরণ জরুরি।
বিশ্বে তৈরি পোশাকের রপ্তানিকারকদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিতে এই খাতের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। সম্প্রতি তৈরি পোশাক খাতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, তুলার দামের ওঠানামা, কভিড-১৯ মহামারি এবং ইইউ-ভিয়েতনাম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিসহ একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, যা এই খাতকেন্দ্রিক বাণিজ্যের গতিশীলতায় প্রভাব ফেলেছে। এ ছাড়া আসন্ন এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে এই শিল্পের বিকাশের পথে আরেকটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সূত্র: কাল বেলা