তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কেরই ৩ হাজার ৪১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। ভয়াবহ ভূমিকম্পের এই ঘটনায় তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও হাজার হাজার মানুষ রয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ভূমিকম্পে ধসে গেছে কয়েক হাজার বাড়ি। উদ্ধার কাজ এখনও চলমান রয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশ থেকেও উদ্ধারকর্মী পাঠানো হচ্ছে দেশটিতে।
এদিকে, ভূমিকম্পের এই হতাহতের ঘটনায় তুরস্ক ও সিরিয়া জুড়ে আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে ধারণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও। তাদের হিসেবে দুই দেশ মিলিয়ে দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ ভূকম্পের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি শিশু রয়েছে।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় বলেছেন, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা অন্তত তিন হাজার ৪১৯ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ হাজার ৫৩৪ জন। ভূমিকম্পে প্রায় ছয় হাজার ভবন ধসে পড়েছে। আর সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬০২ জন।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ আফাড সর্বশেষ তথ্যে জানিয়েছে, ২৪ হাজার ৪০০ জানেরও বেশি জরুরি কর্মীকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে মোতায়েন করা হয়েছে।
জাতিসংঘ, ইইউ, নেটো, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপান, ইরাক, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, গ্রিস, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ প্রায় ৩০টিরও বেশি দেশ ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে সাহায্য পাঠাচ্ছে।
গতকাল সোমবার ভোররাতে গাজিয়ানটেপের কাছে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর ১২ ঘণ্টা পর ৭.৫-মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়।
সূত্র: আলজাজিরা, বিবিসি।