কুড়িগ্রামে মাঘের শীতের দাপট কোনোভাবেই যেন কমছেনা। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জেলায় শীতের প্রভাবে মানুষের দুর্ভোগ এখন মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঘন মেঘের আনাগোনা। ফলে দেখা যায়না সূর্যের মুখ।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে জেলায় শনিবার আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
দুপুরের পর সূর্যের মুখ দেখা গেলেও তাপমাত্রা তেমন না থাকায় মানুষের মাঝে স্বস্তি মেলেনি। ফলে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ কাজ করতে না পেরে পড়েছেন চরম বিপাকে। তাপমাত্রা প্রতিদিনই নিম্নগামী হওয়ায় শীত কষ্টে ভুগছেন নদনদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ। জেলায় চরের সাড়ে ৪০০ পরিবার ঠাণ্ডায় কাতর অবস্থায় রয়েছেন। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় জেলার মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে প্রায় ৬ দিন ধরে। রোববার তাপমাত্রা কমে গিয়ে ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন করে বন্ধ ঘোষণা আসতে পারে বলেও জানায় জেলা শিক্ষা বিভাগ। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার কারণে বিলম্বিত হচ্ছে বোরো আবাদ।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আরও দুএকদিন তাপমাত্রা কমে পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে স্বাভাবিক হতে পারে।
এ পর্যন্ত শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল বলে জানান অনেক শীতার্ত মানুষ।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যেই ৬৭ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৪ হাজার কম্বল শিগগিরই উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হবে।