তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অ্যাডভোকেট (দূত) হিসেবে বাংলাদেশ সফরে আসেন তিনি।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকায় পৌঁছালে রানি মাথিল্ডেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বেলজিয়ামের কোনো রানির এটিই প্রথম বাংলাদেশ সফর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে অবস্থান করবেন বেলজিয়ামের রানি। এ সময় তিনি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তার সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ সফরে রানি মাথিল্ডে একটি গার্মেন্টস কারখানা পরিদর্শন করবেন। তিনি ওই কারখানার কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানবেন। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা ইউনিসেফের পরিচালিত একটি স্কুল পরিদর্শন করবেন তিনি।
সফরসূচি অনুযায়ী, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন রানি মাথিল্ডে, সেখানে তিনি নারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে আলাপ করবেন। এছাড়া তিনি খুলনায় যাবেন। সেখানে ইউএনডিপির ওয়াটার সেক্টরের একটি প্রজেক্ট পরিদর্শন করে এর সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলবেন। মাথিল্ডে তাদের কাছে জানতে চাইবেন কীভাবে ওই প্রকল্প থেকে তারা সুবিধা পাচ্ছেন।
জাতিসংঘ মহাসচিবের ১৭ জন এসডিজি অ্যাডভোকেট আছেন, তাদেরই একজন বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডে। এ ছাড়াও রয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, শান্তিতে নোবেলজয়ী ভারতের কৈলাশ সত্যার্থী ও বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। যারা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বা অনুপ্রেরণা যোগাতে তাদের ভূমিকা রয়েছে। সে কারণে রানি বাংলাদেশে আসছেন।
গত সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বেলজিয়ামের রানির বাংলাদেশ সফর ঘিরে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সেখানে বলা হয়েছে, সরকার ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) আইন, ২০২১’-এর ধারা ২ এর দফা ক’তে দেওয়া ক্ষমতাবলে, বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডেকে বাংলাদেশ সফরকালে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করল।