ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

ছাত্রদের সামনে দাঁড়াতে পারি না, লজ্জা লাগে : ফয়েজ তৈয়্যব

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের কর্মসংস্থান তৈরিতে তাদের আইটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিদিন যখন বাসায় ফিরি তখন মনে হয়, অনেক কাজ বাকি। আমি ছাত্রদের সামনে দাঁড়াতে পারি না, লজ্জা লাগে।’

বুধবার (১৬ জুলাই) তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) উদ্যোগে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালন উপলক্ষে ‘ইয়ুথ পাওয়ার : ল্যাঙ্গুয়েজ মুভমেন্ট ১৯৫২ টু কোটা রিফর্ম মুভমেন্ট ২০২৪’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটির অধ্যাপক ড. এম মেসবাহ উদ্দীন সরকার। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মামুনুর রশীদ ভুঞা। সভাপতিত্ব করেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক মেহেদী হাসান, জুলাই যোদ্ধা আবু বকর সিদ্দীক ও ইয়াসির শারার।

জুলাই যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘যে তরুণরা তাদের জীবন দিয়ে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা সেই দায়িত্ব কতটা পালন করেছি, তা আজ বুঝে নেওয়ার দিন। আগামী মাসগুলোতে আমরা চেষ্টা করব, জুলাইয়ের আহতদের আইসিটি স্কিল দিয়ে তাদের একটা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় জীবনের নিশ্চয়তা দিতে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘আমরা যে কাজগুলো শুরু করেছি, অনেক ক্ষেত্রেই গত এক বছরে আমরা সফল হ‌ইনি, আগামী দিনে কীভাবে সফল হতে পারি, সে পরিকল্পনা আমাদের করতে হবে।

সেমিনারে জুলাই যোদ্ধা আবু বকর সিদ্দীক বলেন, ‘যে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা আমাদের ওপর চেপে বসেছিল, তা দূর করার জন্য অভ্যুত্থান হয়েছে। আজ আমাদের মধ্যে ভাগ দেখা দিয়েছে, যা আমাদের বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা শুধু নির্বাচন চাই না, যথাযথ বিচার ও সংস্কারের পর নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

জুলাই যোদ্ধা আহসান ইয়াসির শারার বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কোটার কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে নেমে এসেছিলাম। আমাদের কিছু প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু আমরা এখনো খুনিদের বিচার দেখছি না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করলেও তাদের ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে।

স্বাগত বক্তব্যে মামুনুর রশীদ ভূঞা বলেন, ‘আমরা দেখেছি জাতির ক্রান্তিলগ্নে তরুণরাই ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে আমাদের আলোর পথ দেখিয়েছেন। জুলাই আন্দোলনে প্রবীণরা কিন্তু রুখে দাঁড়াতে পারিনি, তরুণরাই রক্ত দিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছে। আমরা যদি তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে না পারি, তাহলে শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে।

সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘বাঙালি মরতে জানে, কিন্তু হারতে জানে না। জুলাই আন্দোলনে ২ হাজারেরও বেশি মানুষকে হারিয়ে আমরা জগদ্দল পাথর সরিয়েছি। ৫ আগস্টের পর আমাদের অগ্রগতি কম নয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিভাজনের জন্য চক্রান্ত চলছে। গত ১৫ বছর অবৈধভাবে অর্জিত টাকা এ চক্রান্ত সফল করতে ব্যয় করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা তা সফল হতে দেব না।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

ছাত্রদের সামনে দাঁড়াতে পারি না, লজ্জা লাগে : ফয়েজ তৈয়্যব

আপলোড সময় : ০৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের কর্মসংস্থান তৈরিতে তাদের আইটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, ‘প্রতিদিন যখন বাসায় ফিরি তখন মনে হয়, অনেক কাজ বাকি। আমি ছাত্রদের সামনে দাঁড়াতে পারি না, লজ্জা লাগে।’

বুধবার (১৬ জুলাই) তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের (আইসিটি) উদ্যোগে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালন উপলক্ষে ‘ইয়ুথ পাওয়ার : ল্যাঙ্গুয়েজ মুভমেন্ট ১৯৫২ টু কোটা রিফর্ম মুভমেন্ট ২০২৪’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইটির অধ্যাপক ড. এম মেসবাহ উদ্দীন সরকার। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মামুনুর রশীদ ভুঞা। সভাপতিত্ব করেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক মেহেদী হাসান, জুলাই যোদ্ধা আবু বকর সিদ্দীক ও ইয়াসির শারার।

জুলাই যোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘যে তরুণরা তাদের জীবন দিয়ে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন, দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা সেই দায়িত্ব কতটা পালন করেছি, তা আজ বুঝে নেওয়ার দিন। আগামী মাসগুলোতে আমরা চেষ্টা করব, জুলাইয়ের আহতদের আইসিটি স্কিল দিয়ে তাদের একটা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় জীবনের নিশ্চয়তা দিতে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘আমরা যে কাজগুলো শুরু করেছি, অনেক ক্ষেত্রেই গত এক বছরে আমরা সফল হ‌ইনি, আগামী দিনে কীভাবে সফল হতে পারি, সে পরিকল্পনা আমাদের করতে হবে।

সেমিনারে জুলাই যোদ্ধা আবু বকর সিদ্দীক বলেন, ‘যে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা আমাদের ওপর চেপে বসেছিল, তা দূর করার জন্য অভ্যুত্থান হয়েছে। আজ আমাদের মধ্যে ভাগ দেখা দিয়েছে, যা আমাদের বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা শুধু নির্বাচন চাই না, যথাযথ বিচার ও সংস্কারের পর নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

জুলাই যোদ্ধা আহসান ইয়াসির শারার বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে কোটার কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে নেমে এসেছিলাম। আমাদের কিছু প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু আমরা এখনো খুনিদের বিচার দেখছি না। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করলেও তাদের ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে।

স্বাগত বক্তব্যে মামুনুর রশীদ ভূঞা বলেন, ‘আমরা দেখেছি জাতির ক্রান্তিলগ্নে তরুণরাই ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে আমাদের আলোর পথ দেখিয়েছেন। জুলাই আন্দোলনে প্রবীণরা কিন্তু রুখে দাঁড়াতে পারিনি, তরুণরাই রক্ত দিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছে। আমরা যদি তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে না পারি, তাহলে শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে।

সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘বাঙালি মরতে জানে, কিন্তু হারতে জানে না। জুলাই আন্দোলনে ২ হাজারেরও বেশি মানুষকে হারিয়ে আমরা জগদ্দল পাথর সরিয়েছি। ৫ আগস্টের পর আমাদের অগ্রগতি কম নয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে বিভাজনের জন্য চক্রান্ত চলছে। গত ১৫ বছর অবৈধভাবে অর্জিত টাকা এ চক্রান্ত সফল করতে ব্যয় করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা তা সফল হতে দেব না।