পাবনার চাটমোহরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ গাইড বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। লাইব্রেরিগুলোতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে একদিকে অভিভাবকরা যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন,তেমনি শিক্ষার্থীরা গাইড বই নির্ভর হওয়াতে মেধাশুন্য হয়ে পড়ছে। অভিযোগ সুবিধাবাদী কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট কোম্পানীর গাইড বই কেনার জন্য শ্রেণী কক্ষে নির্দেশ দিচ্ছেন। এসব শিক্ষক আবার তার কাছে প্রাইভেট পড়তেও উৎসাহিত করছে,নতুবা শ্রেণী পরীক্ষার নম্বর কম দেয়া হয়।
একাধিক সুত্র জানায়,একাধিক প্রকাশনী চাটমোহরে বিভিন্ন স্কুলে আর্থিক চুক্তি করে তাদের গাইড বই বিক্রি করছে। এরমধ্যে পাঞ্জেরী ও ফুলকুঁড়ি উল্লেখযোগ্য। কতিপয় শিক্ষক তাদের কাছ থেকে অবৈধ আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করছেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের দোলং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,২য় শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত অধিকাংশ শিশু শিক্ষার্থীর হাতেই ‘ফুলকুঁড়ি গাইড’। এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা লতিকা সুলতানা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। ওই প্রকাশনীর সাথেই নাকি স্কুলের অলিখিত আর্থিক চুক্তি হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলার প্রায় সকল প্রথিমিক বিদ্যালয় ও প্রাইভেট স্কুলে এসকল প্রকাশনীর বই কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। শিক্ষা নিয়ে এমন বানিজ্য অভিভাবকদের ভাবিয়ে তুলেছে। কোথাও প্রতিকার মিলছেনা।
চাটমোহর উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাহবুবুর রহমান বলেন,গাইড বই নিষিদ্ধ। কেউ এটা কিনতে পারবেনা। কেনার জন্য কোন নির্দেশনা বা উৎসাহিত করাও যাবেনা। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।