গাজীপুরে টঙ্গীতে চলন্ত ট্রেনে ডাকাতির ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) এ তথ্য জানান তিনি।
আটকরা হলেন- গাজীপুর টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকার মাসুমের বাড়ির ভাড়াটিয়া মো. হাশেমের ছেলে মেহেদী হাসান জয় (২৬), একই থানার আমতলী টেরানির টেক এলাকার মৃত বাবুল খানের ছেলে মো. রনি (৩৫), নরসিংদী জেলার পলাশ থানার ঘোড়াশাল গ্রামের মো. নুর আলমের ছেলে রবিউল হাসান (৪০), টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন পশ্চিম পাড়া এলাকার মো. স্বাধীন (৩০), জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার কলাফাতি গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম জাকির (২৫), জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার গলাবাধি গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মো. মাসুদ (২৭), টঙ্গী পূর্ব থানার নতুন বাজার এলাকার মো. মোতালেবের ছেলে মো.নাসির (২০), গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বলিয়াদী বাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো.নয়ন হাসান (২৮) ও টঙ্গী ব্যাংকের মাঠ বস্তির মো. আশিক (২২)।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাতে টঙ্গী রেল স্টেশনে কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনে চলন্ত ট্রেনে ঢিল ছুঁড়ে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে বেশ কয়েকটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা।
যাত্রীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনটি টঙ্গী স্টেশনে প্রবেশ করার সময় গতি কমে যায়। ঠিক সে সময় হঠাৎ ট্রেনটি লক্ষ্য করে বাহির থেকে পাথর ছুড়তে থাকে দুর্বৃত্তরা। এসময় আতঙ্কিত যাত্রীরা আত্মরক্ষার্থে ছোটাছুটি শুরু করেন, কেউ কেউ ট্রেনের মেঝেতে শুয়ে পড়েন। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হন। পরে দুর্বৃত্তরা ভেতরে প্রবেশ করে কয়েকজনের মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস বলেন, কমিউটার ট্রেনে চলন্ত ট্রেনে ঢিল ছুঁড়ে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে কয়েকটি মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৯ সদস্যকে আটক করেছি। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।