ঢাকা , বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

চলনবিলাঞ্চলে তীব্র তাপদাহে জনজীবন ও প্রাণীকুল অতিষ্ঠ

চলনবিলাঞ্চলজুড়ে বিরাজ করছে প্রচণ্ড তাপদাহ। দিনের পর দিন ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা জনজীবনকে একপ্রকার স্থবির করে ফেলেছে। খরতাপে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ, কৃষিজীবী পরিবার ও প্রাণীকুল।

বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, সকাল ৯টা থেকেই প্রচণ্ড রোদের তাপ সহ্য করা দায় হয়ে পড়ছে। মাঠে কাজ করতে পারছেন না কৃষকরা, ফলে কৃষিকাজে ব্যাঘাত ঘটছে। প্রচণ্ড গরমে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা কষ্ট পাচ্ছে, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজিরাও কমে গেছে।

পানি সংকট দেখা দিয়েছে অনেক গ্রামে। গভীর নলকূপ শুকিয়ে যাওয়ায় মানুষকে অনেক দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ছোট ছোট পুকুর ও জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর খাদ্য ও পানি সংকট দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় পশু চিকিৎসক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় পশুরা হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক পশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে, যেগুলোর চিকিৎসার প্রয়োজন

স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, ডায়রিয়া, হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়তি রোগীর চাপ পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো মানুষকে প্রচুর পানি পান, সূর্যের তাপ থেকে বাঁচার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে চলনবিলাঞ্চলের বাসিন্দারা দাবি করছেন, এই সংকটে সরকারের পক্ষ থেকে আরও জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

চলনবিলাঞ্চলে তীব্র তাপদাহে জনজীবন ও প্রাণীকুল অতিষ্ঠ

আপলোড সময় : ০৪:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

চলনবিলাঞ্চলজুড়ে বিরাজ করছে প্রচণ্ড তাপদাহ। দিনের পর দিন ৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা জনজীবনকে একপ্রকার স্থবির করে ফেলেছে। খরতাপে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ, কৃষিজীবী পরিবার ও প্রাণীকুল।

বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, সকাল ৯টা থেকেই প্রচণ্ড রোদের তাপ সহ্য করা দায় হয়ে পড়ছে। মাঠে কাজ করতে পারছেন না কৃষকরা, ফলে কৃষিকাজে ব্যাঘাত ঘটছে। প্রচণ্ড গরমে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা কষ্ট পাচ্ছে, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাজিরাও কমে গেছে।

পানি সংকট দেখা দিয়েছে অনেক গ্রামে। গভীর নলকূপ শুকিয়ে যাওয়ায় মানুষকে অনেক দূর থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ছোট ছোট পুকুর ও জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর খাদ্য ও পানি সংকট দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় পশু চিকিৎসক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় পশুরা হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক পশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে, যেগুলোর চিকিৎসার প্রয়োজন

স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, ডায়রিয়া, হিটস্ট্রোক, পানিশূন্যতাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়তি রোগীর চাপ পড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো মানুষকে প্রচুর পানি পান, সূর্যের তাপ থেকে বাঁচার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে চলনবিলাঞ্চলের বাসিন্দারা দাবি করছেন, এই সংকটে সরকারের পক্ষ থেকে আরও জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।