টাঙ্গাইলে ঘন কুয়াশার কারণে পৃথক ১৮টি দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ জন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ধল্লা থেকে মির্জাপুর চরপাড়া এক কিলোমিটারেই ১৬টি দুর্ঘটনা এবং সদর উপজেলার মাদারজানি ও ভূঞাপুরের জগৎপুরা এলাকায় আরও দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সরিষাবাড়ি থেকে টাঙ্গাইল যাওয়ার সময় জগৎপুরা এলাকায় বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কলেজছাত্র ইশরাক মারা যান। এ সময় ইশরাকের বাবাসহ দুজন আহত হয়েছেন।
নিহত ইশরাক জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার থল গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে।
ইশরাকের স্বজনরা জানান, বাবার সঙ্গে ইশরাক টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যাচ্ছিল। কিন্তু আর ভর্তি হওয়া হলো না তার।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মোল্লাহ টুটুল জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় মহাসড়কের ধল্যা-মনসুর এলাকায় ঢাকামুখী লেনে পিকআপভ্যানের পেছনে বাসের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিটি বাসের হেলপার। নিহত হেলপার মুন্না নিলফামারীর সদর উপজেলার স্টেশন এলাকার আশরাফুলের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১০ জন।
টাঙ্গাইলের ট্রাফিক সার্জেন্ট মোস্তাক আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মির্জাপুরের বিভিন্ন এলাকায় ১৫ থেকে ১৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঢাকামুখী লেন বন্ধ রয়েছে। সার্ভিস লেন দিয়ে যানবাহন চলছে।
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের জগৎপুরা এলাকায় বালুবাহি ট্রাকের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষে ইশরাক (২০) নামে একজন নিহত হয়েছে। এ সময় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন সোলায়মান ও আবু সাঈদ।