সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় গ্রাহকদের কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া জনতা ব্যাংকের পিয়ন আওলাদ হোসেন রঞ্জু আকন্দকে (৪০) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ভোরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব মিয়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রঞ্জু শাহজাদপুর পৌরসভার পাড়কোলা মহল্লার মৃত নুরুল আকন্দের ছেলে এবং উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ঈদের ছুটির পর থেকে রঞ্জু পলাতক ছিলেন। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রঞ্জু গ্রাহকদের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এনজিওসহ বিভিন্নভাবে নেওয়া ৩৫ লাখ টাকা ঋণের সুদ দিতে গিয়েই এমন কাজে জড়িয়েছেন তিনি। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছে ২০ হাজার ২০ টাকা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জনতা ব্যাংক শাহজাদপুর শাখার ব্যবস্থাপক জেহাদুল ইসলাম থানায় মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহক ও ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে জনতা ব্যাংক শাহজাদপুর শাখায় পিয়ন কাম পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে যোগ দেন রঞ্জু। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকে আগত সহজ সরল গ্রাহকদের সহযোগিতা করার কথা বলে তাদের জমার টাকা নিজের কাছে রেখে ব্যাংকের সিল স্বাক্ষর মেরে রিসিভ কপি গ্রাহককে দিয়ে দিতেন। কখনো গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন করতে আসলে চেক জমা রেখে নিজের টাকা দিয়ে দিতেন। এভাবে বিভিন্ন প্রবাসীর লাখ লাখ টাকা ব্যাংকে জমার কথা বলে তা অ্যাকাউন্টে না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দিতেন। গ্রাহকদের দাবি, সব মিলিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
গ্রাহকদের পাঁচ কোটি টাকা উধাও হওয়ার বিষয়ে জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ শাখার ডিজিএম জাহিদুল আলম বলেন, টাকার পরিমাণ এতো বেশি হবে না। তবে আমরা এখনো ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করছি। এটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না তিনি কত টাকা লোপাট করেছেন।
জানা গেছে, রঞ্জু সবসময় নিজেকে জনতা ব্যাংকের এমডি (সাবেক) আব্দুস সালামের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের চোখের সামনে অপকর্ম চালিয়ে যেতেন। যদিও সাবেক এমডির সঙ্গে তার কোনো ধরনের সম্পর্কই নেই।