কলার পুষ্টিগুণের কথা সবারই জানা। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে কলার ভূমিকা অনন্য। মানসিক অবসাদে ভুগলেও প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কলা রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কলায় কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমে। এতে থাকা আয়রন রক্তস্বল্পতা সমস্যার বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। ট্রিপটোফ্যান, ভিটামিন ‘বি’-৬, ভিটামিন ‘বি’র মতো একাধিক স্বাস্থ্য উপকারী গুণ সমৃদ্ধ এই ফল। কিন্তু এত কিছু গুণ থাকা সত্ত্বেও প্রশ্ন ওঠে খালি পেটে কলা খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। এগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে খালি পেটে এই ফল খেলে উপকারের চেয়ে বেশি অপকার হয়। কলায় চিনির পরিমাণও অনেক বেশি।
অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকার পর কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ফলে খালি পেটে কলা খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে। কলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমায়। পাশাপাশি খালি পেটে কলা খেলে এই সমস্যা উল্টে বেড়ে যেতে পারে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, সকালে কলা খেতেই পারেন। তবে খালি পেটে নয়। কিছু না খেয়ে প্রথমেই কলা খেলে অ্যাসিডিটি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া খালি পেটে কলা খেলে রক্তে ক্যালশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়তে পারে হৃৎপিণ্ডের ওপর।
ওটস, পাউরুটি বা অন্য কোনো খাবার খাওয়ার পর কলা খেতে পারেন। তাহলে সমস্যা নেই। আবার কলা, ওটস, বেরি, ম্যাপল সিরাপ, কাঠবাদাম দিয়ে একটি স্মুদিও বানিয়েও খেতে পারেন। এতে শরীর ভিতর থেকে সুস্থ থাকবে।