ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

কেউ গালি দিলেও বলতে হবে ‘আমি রোজাদার’

  • হান্ডিয়াল নিউজ
  • আপলোড সময় : ১১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • ২৯৭ বার দেখা হয়েছে।

সব পাপাচার, ঝগড়া-বিবাদ কিংবা গালাগাল থেকে বিরত থাকা রোজার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। রোজা ছাড়াও ইসলামে ঝগড়া-বিবাদ বা অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগাল নিষিদ্ধ, আর রোজা অবস্থায় আরও মারাত্মক।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,তোমাদের কেউ রোজা রাখলে সে যেন অশ্লীল কথা ও মূর্খতা পরিহার করে। যদি কেউ তাকে গালমন্দ করে কিংবা তার সঙ্গে ঝগড়া-মারামারিতে লিপ্ত হয়, সে যেন বলে, আমি রোজাদার।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত,যখন তোমাদের কেউ কোনো দিন রোজা অবস্থায় ভোরে উপনীত হয়, সে যেন অশ্লীল কথাবার্তা ও জাহিলি আচরণ না করে। যদি কেউ তাকে গালাগাল করে বা তার সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হতে উদ্যত হয়, তখন সে যেন বলে, আমি রোজা পালনকারী, আমি রোজা পালনকারী। (মুসলিম, হাদিস : ২৫৯৩)
আমাদের প্রিয় নবি (সা.) কথাবার্তায় অশ্লীলভাষার প্রয়োগ পছন্দ করতেন না। তাই মুমিনদের তিনি এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিন কখনো দোষারোপকারী, অভিশাপদাতা, অশ্লীলভাষী ও গালাগালকারী হয় না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০৪৩)

তাই রোজা অবস্থায় কেউ গালি দিলেও তার জবাবে গালি দেওয়া যাবে না। কেউ মারামারি কিংবা ঝগড়া-বিবাদ করতে চাইলেও তা এড়িয়ে চলতে হবে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

কেউ গালি দিলেও বলতে হবে ‘আমি রোজাদার’

আপলোড সময় : ১১:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

সব পাপাচার, ঝগড়া-বিবাদ কিংবা গালাগাল থেকে বিরত থাকা রোজার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। রোজা ছাড়াও ইসলামে ঝগড়া-বিবাদ বা অশ্লীল কথাবার্তা বা গালাগাল নিষিদ্ধ, আর রোজা অবস্থায় আরও মারাত্মক।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,তোমাদের কেউ রোজা রাখলে সে যেন অশ্লীল কথা ও মূর্খতা পরিহার করে। যদি কেউ তাকে গালমন্দ করে কিংবা তার সঙ্গে ঝগড়া-মারামারিতে লিপ্ত হয়, সে যেন বলে, আমি রোজাদার।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত,যখন তোমাদের কেউ কোনো দিন রোজা অবস্থায় ভোরে উপনীত হয়, সে যেন অশ্লীল কথাবার্তা ও জাহিলি আচরণ না করে। যদি কেউ তাকে গালাগাল করে বা তার সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হতে উদ্যত হয়, তখন সে যেন বলে, আমি রোজা পালনকারী, আমি রোজা পালনকারী। (মুসলিম, হাদিস : ২৫৯৩)
আমাদের প্রিয় নবি (সা.) কথাবার্তায় অশ্লীলভাষার প্রয়োগ পছন্দ করতেন না। তাই মুমিনদের তিনি এ ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘মুমিন কখনো দোষারোপকারী, অভিশাপদাতা, অশ্লীলভাষী ও গালাগালকারী হয় না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০৪৩)

তাই রোজা অবস্থায় কেউ গালি দিলেও তার জবাবে গালি দেওয়া যাবে না। কেউ মারামারি কিংবা ঝগড়া-বিবাদ করতে চাইলেও তা এড়িয়ে চলতে হবে।