1. admin@handiyalnews24.com : admin :
  2. tenfapagci1983@coffeejeans.com.ua : cherielkp04817 :
  3. ivan.ivanovnewwww@gmail.com : leftkisslejour :
   
চাটমোহর,পাবনা শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন

কৃষি জমির ক্ষতি, বোরো চাষ হুমকিতে রাজশাহীতে পুকুর খনন

হান্ডিয়াল নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ , ৭.১৭ অপরাহ্ণ
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর তানোরে প্রভাবশালীদের অবৈধ পুকুর খননের কারণে এবার বোরো চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের অন্তত ৫০ কৃষক বীজতলা তৈরি করেও জমিতে চারা রোপণ করতে পারছেন না।
কারণ, বীজতলা নষ্ট করে হাতিশাইল গ্রামে প্রভাবশালী আব্দুল মান্নানের ছেলে মৃদুলসহ কয়েকজন ৪০ বিঘা জমিতে পুকুর খনন শুরু করেছেন। এ নিয়ে কৃষকরা উপজেলা প্রশাসনে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না।
উপজেলার হাতিশাইল, কামারগাঁ এবং সমাসপুর গ্রামের ৪০ কৃষক জমি রক্ষার দাবিতে সম্প্রতি তানোর থানা, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাতিশাইল মৌজায় যেখানে পুকুর খনন হচ্ছে, তার মাঝখানে কমপক্ষে পাঁচজন কৃষকের বোরোর বীজতলায় চারা রয়েছে।

আর যেখানে পুকুরের মাটি দিয়ে স্তূপ করা হচ্ছে, তার আশপাশে কমপক্ষে অর্ধশত কৃষক বীজতলা করে বোরো চাষের প্রস্ততি নিচ্ছে। সেখানে পুকুর খনন করলে শুধু অর্ধশত কৃষকের জমিই যে ক্ষতি হচ্ছে তাও নয়, এ পুকুরের পাড়ের জন্য এ মৌজার প্রায় ৫০০ বিঘা জমিতে ফসলহানির উপক্রম হয়েছে।
হাতিশাইল গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক জামাল উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন ও রেজাউল এবং সমাসপুর গ্রামে অনিল বিশ্বাস বলেন, প্রভাবশালী মান্নান ও তার ছেলে মৃদুল জোর করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পুকুর খনন শুরু করেছেন তাদের জমিতে। বাধা দিতে গেলে তারা বলছেন, পুকুর খনন হচ্ছে, পরে ফসলের বদলে লিজ হিসেবে টাকা দেওয়া হবে। কৃষকরা তা মানতে রাজি হয়নি। তবুও জোর করে খনন অবহ্যাত রেখেছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন কৃষক এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পুকুর খনন না করতে নোটিস দিয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারি শুনানির কথা রয়েছে। তবে তার আগেই পুকুর খনন হয়ে যাবে। তখন আর কিছুই কারার থাকবে না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মৃদুল বলেন, তার নিজের নামে সেখানে পাঁচ বিঘা জমি আছে, আর আরও ২০ বিঘা জমি কৃষকের কাছে লিজ নিয়ে পুকুর খনন করছেন। তবে কৃষকরা বলছেন, তাদের কাছ থেকে কোনো লিজ নেওয়া হয়নি। জোর করে পুকুর খনন করা হচ্ছে। তানোর থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, কৃষকদের অভিযোগের  প্রেক্ষিতে সেখানে এক সপ্তাহ আগে অভিযান চালানো হয়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা ড্রেজার মেশিন রেখেই পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মেশিন দুটি জব্দ করে।তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘ফসলি জমিতে পুকুর খনন করতে পারবেন না কেউ। কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আদমদীঘিতে কমছে ফসলি জমি
নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, বগুড়া থেকে জানান, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার দুই ও তিন ফসলি জমিতে পুকুর খনন ও জমি ভরাটের আত্মঘাতী কারবার চলছে অপ্রতিরোধ্যভাবে। ফলে একদিকে ফসলি জমির পরিমাণ কমে গিয়ে ফসল উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে খনন ও ভরাট করা জমির চারপাশের ফসলি জমির উৎপাদন মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা গ্রামের সহজ সরল মানুষকে আর্থিকভাবে ভাল লাভের প্রলোভন দেখিয়ে পুকুর খননে উৎসাহিত করছেন। কিন্তু কৃষি বিভাগ বরাবরই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে আসছে।
পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা খাদ্য উদ্বৃত্ত হিসাবে পরিচিত। এক যুগ পূর্বে উপজেলায় দুই ও তিন ফসলি জমির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৩ হাজার দুইশ’ হেক্টর। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের বলেন, ফসলি জমিতে পুকুর খনন ও ভরাট করা বেআইনি কাজ। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া মাত্র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।