1. admin@handiyalnews24.com : admin :
  2. tenfapagci1983@coffeejeans.com.ua : cherielkp04817 :
  3. ivan.ivanovnewwww@gmail.com : leftkisslejour :
   
চাটমোহর,পাবনা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪১ অপরাহ্ন

কৃষকের মুখে সূর্যমুখী ফুলের হাসি

হান্ডিয়াল নিউজ
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪ , ১০.৩৯ অপরাহ্ণ
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে হাসছে কৃষকেরা। অল্প খরচে অধিক ফলন হওয়ায় সূর্যমুখী ফুলের চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে পরছে কৃষকেরা। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় শাহজাদপুরে এবার বেশ ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে দেশে বাড়ছে তেলবীজের আবাদ। সয়াবিন তেলের তুলনায় কম কোলস্টেরল এবং সহজেই চাষ উপযোগী হওয়ায় সূর্যমুখী ফুল চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বল্পমেয়াদী, খরা ও লবণাক্ত মাটি সহনশীল তেল জাতীয় ফসল সূর্যমুখী।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের বল্দীপাড়া গ্রামের মাঠে রুপবাটি ইউনিয়নের করতোয়া নদীর পাড়ে চর আন্দারমানিক মাঠে সূর্যমূখী চাষ করতে দেখা গেছে। অনেক দুর থেকে সূর্যমূখী ফুলের নান্দনিক সৌন্দর্য দৃষ্টি কারছে পথচারীদের।সূর্যমুখী বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রিয়জন ও পরিবারসহ অনেকেই সকাল-বিকাল ছুটে আসছেন। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ভিড় করছে।সূর্যমুখী তেল সারা বিশ্বে খুবই জনপ্রিয়।এই তেল মানুষের হার্টের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও সূর্যমুখী বীজের খৈল গরু ও মহিষের খাবার হিসেবেও উৎকৃষ্ট।’

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সারিবদ্ধভাবে সূর্যমুখীর বীজবপন করা হয়। বপনের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও সেচ লাগে দুবার। প্রতি একর জমিতে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ করে সূর্যমূখী ফুলের বীজ বিক্রি করে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব।

বল্দীপাড়া গ্রামের কৃষক রওশন সরকার জানান, চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে তিনি পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। সফলতার মুখও দেখছেন। আগামী দিনে এই চাষ আরও বাড়াবেন বলে জানান তিনি।

উপজেলার চর আন্দারমানিক গ্রামের সূর্যমুখী চাষী আবু সাইদ বলেন, তার ভাইয়ের কাছ থেকে প্রেরণা পেয়ে চলতি মৌসুমে ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন।তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিক লাভের আশায় সূর্যমূখী চাষ শুরু করেছেন । ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে পুরো জমি, ফলে ভাল ফলনের আশা করছেন তিনি।গাঁড়াদহ থেকে আসা দর্শনার্থী ইয়াকুব মেম্বর,রাজমান থেকে আসা দর্শনার্থী মোমেনা খাতুন ও শাহজাদপুর থেকে আসা দর্শনার্থী ফরিদুল ইসলাম চঞ্চল বলেন,সূর্যমুখী বাগানে এসে খুবই ভালো লাগছে। ফুলগাছ দেখলাম ছবি তুললাম খুবই মজা করেছি।

শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ বলেন,চলতি অর্থবছরে শাহজাদপুর উপজেলায় ৩ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদ হয়েছে।কৃষি অফিস আশা করছে এই ৩ হেক্টর জমি হইতে ৬ মেট্রিকটন সূর্যমুখীর বীজ উৎপাদিত হবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।