ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

কুষ্টিয়ায় চাহিদার থেকে বেশি কোরবানির পশু

আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় খামারি ও কৃষক পর্যায়ে মোট ৪৭ হাজার ৩৬টি গবাদিপশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যা স্থানীয় চাহিদার তুলনায় ২৪ হাজার ৫৩৬টি বেশি। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, উদ্বৃত্ত এসব পশু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কোরবানির চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।

উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এবারের ঈদে উপজেলার চারটি পশুর হাটে এসব পশু বেচাকেনা হবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৫ হাজার ২২৩ জন খামারি ও কৃষক এ বছর কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ২০ হাজার ৩৯৯টি গরু, ৩১৬টি মহিষ, ২৩ হাজার ২৭টি ছাগল এবং ৩ হাজার ২৯৪টি ভেড়া।

স্থানীয় খামারিদের মতে, যদি বাইরের দেশ থেকে পশু আসা বন্ধ থাকে, তবে স্থানীয় গবাদিপশুর চাহিদা ও দাম—দুটিই বাড়বে, এতে লাভবান হবেন তারা।

সাদিপুর গ্রামের ‘জিয়াউর অ্যাগ্রো’ খামারের মালিক জিয়াউর রহমান জানান, তার খামারে এবারের কোরবানির জন্য ১৫টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। তবে গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পশু পালন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন, ভারত থেকে কোরবানির পশু না এলে আমরা কিছুটা লাভবান হতে পারব।

এন এস আর অ্যাগ্রো খামারের মালিক নাঈম হোসেন জানান, তার খামারে ৩০টি মহিষ ও ১০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে, যেগুলো সম্পূর্ণ দেশীয় খাবারে লালন-পালন করা হয়েছে। তারও প্রত্যাশা, এবারের ঈদে ভালো লাভ হবে।

এ ছাড়া কৃষক পর্যায়েও অনেকেই বাড়িতে এক-দুটি করে গরু ও ছাগল পালন করে কোরবানির সময় বিক্রি করছেন এবং এতে লাভবান হচ্ছেন বলেও জানান স্থানীয়রা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম বলেন, চাহিদার তুলনায় আমাদের উপজেলায় কোরবানির পশু বেশি রয়েছে, যা দেশের অন্যান্য এলাকার চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে। নিয়মিত টিকা ও ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ফলে পশুদের রোগবালাই কম, এতে খামারিদের আগ্রহ বাড়ছে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এবার উপজেলায় চারটি হাটে পশু বেচাকেনা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পশু যেন অবৈধভাবে প্রবেশ না করে, সে বিষয়ে বিজিবি সতর্ক রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

কুষ্টিয়ায় চাহিদার থেকে বেশি কোরবানির পশু

আপলোড সময় : ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় খামারি ও কৃষক পর্যায়ে মোট ৪৭ হাজার ৩৬টি গবাদিপশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যা স্থানীয় চাহিদার তুলনায় ২৪ হাজার ৫৩৬টি বেশি। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, উদ্বৃত্ত এসব পশু রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কোরবানির চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে।

উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এবারের ঈদে উপজেলার চারটি পশুর হাটে এসব পশু বেচাকেনা হবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৫ হাজার ২২৩ জন খামারি ও কৃষক এ বছর কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ২০ হাজার ৩৯৯টি গরু, ৩১৬টি মহিষ, ২৩ হাজার ২৭টি ছাগল এবং ৩ হাজার ২৯৪টি ভেড়া।

স্থানীয় খামারিদের মতে, যদি বাইরের দেশ থেকে পশু আসা বন্ধ থাকে, তবে স্থানীয় গবাদিপশুর চাহিদা ও দাম—দুটিই বাড়বে, এতে লাভবান হবেন তারা।

সাদিপুর গ্রামের ‘জিয়াউর অ্যাগ্রো’ খামারের মালিক জিয়াউর রহমান জানান, তার খামারে এবারের কোরবানির জন্য ১৫টি গরু প্রস্তুত রয়েছে। তবে গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় পশু পালন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন, ভারত থেকে কোরবানির পশু না এলে আমরা কিছুটা লাভবান হতে পারব।

এন এস আর অ্যাগ্রো খামারের মালিক নাঈম হোসেন জানান, তার খামারে ৩০টি মহিষ ও ১০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে, যেগুলো সম্পূর্ণ দেশীয় খাবারে লালন-পালন করা হয়েছে। তারও প্রত্যাশা, এবারের ঈদে ভালো লাভ হবে।

এ ছাড়া কৃষক পর্যায়েও অনেকেই বাড়িতে এক-দুটি করে গরু ও ছাগল পালন করে কোরবানির সময় বিক্রি করছেন এবং এতে লাভবান হচ্ছেন বলেও জানান স্থানীয়রা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম বলেন, চাহিদার তুলনায় আমাদের উপজেলায় কোরবানির পশু বেশি রয়েছে, যা দেশের অন্যান্য এলাকার চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে। নিয়মিত টিকা ও ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ফলে পশুদের রোগবালাই কম, এতে খামারিদের আগ্রহ বাড়ছে।

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এবার উপজেলায় চারটি হাটে পশু বেচাকেনা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পশু যেন অবৈধভাবে প্রবেশ না করে, সে বিষয়ে বিজিবি সতর্ক রয়েছে।