মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পারিবারিক কলহের জেরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শ্বশুরও।
অভিযুক্ত পুত্রবধূ আইরিন আক্তারকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার জামসা ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তহুরা বেগম (৫০) ওই গ্রামের সোনামুদ্দিন বিশ্বাসের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, মাত্র আড়াই মাস আগে নিহত তহুরা বেগমের ছেলে রাসেল বিশ্বাসের সঙ্গে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা গ্রামের আইরিন আক্তারের বিয়ে হয়। নয় দিন আগে ছেলে বিদেশে গেছেন। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি বউয়ের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। মঙ্গলবার রাতে শ্বশুর ঘুমিয়ে যাওয়ার পর শাশুড়ি ও ছেলের বউ ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হলে শাশুড়িকে টর্চলাইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন পুত্রবধূ আইরিন। এরপর চিৎকার দিলে মুখ কাপড় দিয়ে চেপে ধরে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এতে তার হাত, মুখ, মাথা ও গলায় জখম হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর পুত্রবধূ শাশুড়ির মরদেহ ঘর থেকে টেনে বের করে বারান্দার টয়লেটে নিয়ে আসেন। সেখানে রক্তমাখা কাপড় পরিবর্তন করে মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে টেনে ঘরের বাইরে বের করা হয়।
এ সময় শ্বশুরের ঘুম ভেঙে গেলে তিনি ঘটনা টের পান। এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করেন পুত্রবধূ। মুখে জখম হওয়ার পর জোর করে ছুরি ছিনিয়ে নেন শ্বশুর সোনামুদ্দিন। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে পুত্রবধূকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সিংগাইর থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত আইরিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার করেছেন নিহতের স্বামী।