গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নজরুল ইসলাম (৩০) নামে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি।
নজরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাবদা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি ছিলেন। তাকে ২০২১ সালের ২০ মার্চ কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার স্ত্রী ও সন্তান হত্যা মামলায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। তাকে ২০২১ সালের ২০ মার্চ কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। তারপর থেকে তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি ছিলেন। আজ সকালে তাকে কারাগারের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে কারারক্ষীরা তাকে নামান। এরপর তাৎক্ষণিক কারা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেল সুপার বলেন, সকালে বিষয়টি কারারক্ষীরা আমাদের কাছে গোপন করে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে দায়িত্বে অবহেলার কারণে সর্বপ্রধান কারারক্ষী হামিদ গাজী, সহকারী প্রধান কারারক্ষী ফাইজ উদ্দিন ও কারারক্ষী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা তদন্তের জন্য জেলার লুৎফর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নজরুল ইসলামের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।