বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনোর মরদেহ দুদিন মরচুয়ারিতে রাখা হবে। পরে আগামী সোমবার (১৩ মে) তার জানাজা সম্পন্ন করা হবে। পরে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
শনিবার (১১ মে) হায়দার আকবর খান রনোর পরিবারের বরাত দিয়ে কবি সাখাওয়াত টিপু গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী সোমবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) অফিসে তার মরদেহ নেওয়া হবে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে তার মরদেহ। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজার পর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে শুক্রবার (১০ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ এই রাজনীতিক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার জানান, শুক্রবার সকালে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও বিকেল থেকেই ফের অবনতি হতে থাকে। তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাচ্ছিল। সঙ্গে রক্তচাপও ভীষণ কমে গিয়েছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সতীর্থ ও গুণগ্রাহীরা হাসপাতালে আসেন। পরে রাত ২টার দিকে তিনি মারা যান।
রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো তীব্র শ্বাসতন্ত্রীয় অসুখ (টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইল্যুর) নিয়ে গত ৬ মে সন্ধ্যায় পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে এর আগে জানান হাসপাতালটির পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী। অবস্থার অবনতি হওয়ায় হায়দার আকবর খান রনোকে হাসপাতালটির হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রেখে বিশেষ পদ্ধতিতে অক্সিজেন দেওয়া হয়।
হায়দার আকবর খান রনো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের এক প্রবাদ পুরুষ। তাঁর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়। তাঁর মায়ের নাম কানিজ ফাতেমা মোহসিনা ও বাবা হাতেম আলী খান। হায়দার আকবর খান রনোর একমাত্র ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ প্রয়াত হায়দার আনোয়ার খান জুনো।