টানা কয়েকদিনের কনকনে শীত, ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কর্মজীবীদের পাশাপাশি বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীতে সূর্যের দেখা মেলেনি। তীব্র শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন মানুষ।
বেসরকারি চাকরিজীবী আনোওয়ার মিলন জানান, সকাল ৭টায় অফিসের জন্য বের হয়ে গাড়ি পাচ্ছেন না। তীব্র শীতের কারণে অনেকেই এখনও গাড়ি বের করেননি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর একটি সিএনজি পেয়েছি। ভাড়াও বেশি চাচ্ছে।
কারওয়ানবাজারে সবজি কিনতে আসা খুচরা বিক্রেতা ওবায়দুল বলছেন, প্রতিদিন ভোর সাড়ে ৫টায় বের হই। কিন্তু গত কয়েকদিন তীব্র শীতের কারণে আজ একটু দেরিতে বের হয়েছি। অথচ, আজ মনে হচ্ছে শীতের তীব্রতা আরও বেশি।
এ দিকে কনকনে শীতে সর্দি, কাশি ও হাপানিজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও দেখা দিয়েছে। বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।
আবহাওয়া অফিস বলছে, শনিবার সকালে ঢাকায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
বর্তমানে ঢাকা, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৭টি জেলায় জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ আছে। ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, বগুড়া, নওগাঁ, নাটোর, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া এবং বরিশালের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, রোববার তাপমাত্রা একটু বাড়তির দিকে থাকলেও ১০ অথবা ১১ জানুয়ারি তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমতে থাকবে।