উচ্চ আদালতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে জামিন আদেশের কপি পেতে অনেক সময় ব্যয় হতো। এখন তা সঙ্গে সঙ্গেই আপলোড হয় এবং আদেশ যথাস্থানে পৌঁছে যায়। উচ্চ আদালতের এই সুবিধা দেশের সব পর্যায়ের আদালতে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। বাংলাদেশ বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বুধবার (১ মে) দুপুরে সিলেটে আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে তিনি সিলেট সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এসব অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
তিনি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের সুবিধাজনক বসার স্থান হিসেবে সিলেটে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হলেও আদালতে আসা সব মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়।
প্রধান বিচারপতি বলেন, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চান তিনি।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, সিলেটের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালত একিউএম নাসির উদ্দিন, মহানগর পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিত সিংহ, ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অসীম পুরকায়স্থ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট রুহুল আনাম মিন্টু, সিলেট কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ।