প্রায় ১০ হাজার ৬৪০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৮২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ২ হাজার ৮৮০ কোটি ১৮ টাকা।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভাশেষে বিস্তারিত তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ইভিএম প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন। যেহেতু এটি চূড়ান্ত হয়নি, তাই প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর প্রয়োজন পড়েনি।
এছাড়া একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে: পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শ্রীমাই নদীতে মাল্টিপারপাস হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণ’ প্রকল্প; ‘বরিশাল জেলার কারখান, বিঘাই এবং পায়রা নদীর ভাঙন থেকে শেখ হাসিনা সেনানিবাস এলাকা রক্ষা (প্রথম পর্যায়)’ প্রকল্প এবং ‘ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাজিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মুকসুদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদী ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় ছোট দ্বীপ এবং নদীর চরের জন্য অভিযোজন উদ্যোগ’ প্রকল্প।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তিনটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘মাতারবাড়ী কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ (সওজ অংশ) (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প; ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং ‘কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিখালী পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘ইস্টাবলিশমেন্ট অব গ্লোবাল মেরিটাইম ডিসট্রেস ও সেফটি সিস্টেম এবং ইন্টিগ্রেটেড ম্যারিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম -ইজিআইএনএস (তৃতীয় সংশোধিত’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘বাংলাদেশের ২৫টি শহরে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন (জিওবি-এআইআইবি)’ প্রকল্প এবং ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট পেজ-২, খুলনা প্রকল্প; বিদ্যুৎ বিভাগের ‘ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প।