কৃষকদের উৎপাদিত সবজি উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। এতে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছে তেমনই দেশ অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধশীল হচ্ছে।
বর্তমানে বাজারে লাউ, কুমড়া, পটল, লাল শাক, পুইশাক, আলু, বেগুন টমেটো, শিম, মুলা শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি সবজি পাওয়া যাচ্ছে। কৃষকরা তাদের আবাদি জমির বাইরেও বাড়ির আঙিনার পতিত জমিতে পুষ্টি বাগানে নানান রকম সবজি উৎপাদন করছেন। এতে নিজেদের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে বাড়তি উপার্জন হচ্ছে তাদের। সবজি চাষে বেশি লাভবান হওয়ায় অনেক বেকার যুবকরা কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।
উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের কয়েকজন সবজি চাষি বলেন, সবজি চাষের জন্য খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। তুলনামূলকভাবে মূলধনও কম লাগে। পরিশ্রমও অনেক কম। তবে যত্নে ত্রুটি করা যাবে না। কম সময়েই সবজি বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। প্রায় প্রতিদিনই বাজারে সবজি বিক্রি করা যায়। পরিবারের চাহিদাও মেটানো সম্ভব। এছাড়া চলতি মৌসুমে সবজির দামও বেশ ভালো। সব মিলিয়ে সবজি চাষকেই আমরা লাভজনক মনে করছি।
তারা আরও বলেন, কৃষি কর্মকর্তা আমাদের নিয়মিত মনিটরিং করেন, সবজি ক্ষেতে কখন কি করতে হবে তিনি আমাদের সে পরামর্শ প্রদান করেন। যার ফলে আমরা অধিক পরিমাণ সবজি উৎপাদনে সক্ষম হচ্ছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, উল্লাপাড়া উপজেলা সবজি চাষের জন্য উপযোগী। কৃষকরা সবজি চাষ করে লাভ হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে তারা সব রকম সহযোগিতা পাচ্ছে। সরকারি প্রনোদনা হিসেবে বীজ সার পাচ্ছে ছাড়াও আমি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সার্বক্ষনিক মাঠে মাঠে ঘুরে কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করছি।