দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আর মাত্র ৫ দিন বাকি। আগামী ২১ এপ্রিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন। দ্বিতীয় ধাপে পাবনা জেলার চাটমোহভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই তিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তেমন কোন আলোচনা নেই। নেই নির্বাচনী উত্তাপ। সম্ভাব্য প্রার্থীদের আনাগোনা তেমন নেই।
চাটমোহর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কে কে প্রার্থী হবেন কিংবা সম্ভাব্য প্রার্থী কারা-এমন তথ্য খোদ সংবাদকর্মীরাও জানেন না। কারণ স্থানীয় সাংবাদিকরা তেমন কোন তথ্য পাচ্ছেন না। দু’একজন প্রার্থী সংবাদকর্মীদের কাছে নির্বাচনের মনোভাব প্রকাশ করেছেন মাত্র। প্রতিবারের মতো এবারও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিবেনা বলে দলীয় সূত্র বলেছে। সেক্ষেত্রে বিএনপি’র কোন নেতা এবারও চাটমোহর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না,এটা প্রায় নিশ্চিত। আওয়ামী লীগের দুই নেতার নাম চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে।
এরমধ্যে চাটমোহর পৌরসভার সাবেক মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক। দু’জনেই দৈনিক আমাদের বড়ালকে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে চাটমোহর পৌরসভার মেয়র ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন সাখো দৈনিক আমাদের বড়ালকে জানান,জনগণ চাইলে তিনি প্রার্থী হবেন।
ইতোমধ্যে জনগণ তাকে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছেন। সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে কে এম সাঈদ-উল-ইসলাম কাফি চাটমোহর উপজেলাবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টারিং করেছেন। তবে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে লড়বেন কিনা,সে তধ্য দৈনিক আমাদের বড়ালের কাছে নেই। বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন,বিএনপির কোন প্রার্থী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়বেন না।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ইছাহক আলী মানিক,আসাদুজ্জামান পান্না,সাবেক ছাত্রনেতা আঃ আলীম,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলাম,হুমায়ুন কবির প্রার্থী হওয়ার বিষয়চি জানিয়েছেন দৈনিক আমাদের বড়ালকে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের কোন প্রার্থীর মতামত পাওয়া যাযনি। তবে সবকিছু পরিস্কার হয়ে যাবে আগামী ২১ এপ্রিল।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষেরও তেমন কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা। অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,ভোট সুষ্ঠু হবে কিনা কিংবা ভোটের ফলাফল সঠিকভাবে জানানো হবে কিনা-তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই ভোটাররা এনিয়ে কোন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।