ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবিটি নাকচ করে দিয়েছে ইরান। তেহরানের জানিয়েছে, ইরানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা হয়নি, তিনটি ড্রোন এসেছিল সেগুলো আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে। হামলার প্রতিশোধের বিষয়ে ইরান জানিয়েছে, অবিলম্বে প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা নেই তাদের।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ইসরায়েলের হামলার খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ইরানি কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রতিশোধ নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই ইরানের। এই ঘটনাটি বিদেশি কোনো উৎস থেকে হয়েছে কি না নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বাইরে থেকে কোনো আক্রমণের সম্মুখীন হইনি এবং চলমান আলোচনা হামলার চেয়ে অনুপ্রবেশের দিকেই বেশি ঝুঁকছে।
তবে এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি ইসরায়েল।
এদিকে একজন ইরানি বিশ্লেষক দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেছেন, ইসফাহানে বিমান প্রতিরক্ষা দিয়ে যে মিনি ড্রোনগুলোকে গুলি করা হয়েছিল, সেগুলো ইরানের ভেতর থেকেই অনুপ্রবেশকারীরা উড়িয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ইরানের ইসফাহান শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসফাহান শহরের কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর বিভিন্ন প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ইরান। একই সঙ্গে তেহরান, ইসফাহান এবং শিরাজের ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছিল।
এর আগে, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরানে পাল্টা হামলার কথা বলেছিল ইসরায়েল।
এর আগে, ইরান বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানায়, ইসরায়েলকে তাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামরিক দুঃসাহসিকতা বন্ধ করতে বাধ্য করতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধ এখন পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে।