ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রতিবাদ

ইন্ডিয়া টুডের প্রকাশিত একটি মিথ্যা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লক্ষ করেছে, ইন্ডিয়া টুডে আবারও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা মিথ্যা ও বিকৃত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত বৈঠকের ওপর ভিত্তি করে রচিত, যার শিরোনাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অভ্যুত্থানের আশঙ্কায় জরুরি বৈঠক করেছে।

প্রকাশিত এই প্রতিবেদন সাংবাদিকতার নৈতিকতার চরম লঙ্ঘন এবং একসময় সম্মানজনক সংবাদমাধ্যমের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের দৃষ্টান্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিবেদনটি নির্ভরযোগ্য উৎস বা কোনো প্রমাণ ছাড়া সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানোর আরেকটি প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে। এতে প্রকাশিত তথ্যে কোনো সত্যতা নেই এবং তথাকথিত ‘অভ্যুত্থানের আশঙ্কা’ একেবারেই প্রতারণামূলক।

ইন্ডিয়া টুডে বারবার কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই সংবেদনশীল খবর প্রকাশ করছে, যা সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও সত্যনিষ্ঠতার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়।

এটি প্রথমবার নয়, ইন্ডিয়া টুডে অতীতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে। গত ১১ মার্চ আমরা প্রকাশিত একটি বিভ্রান্তিকর ও অসত্য প্রতিবেদন খণ্ডন করে বিবৃতি দিয়েছিলাম। তবু এ ধরনের অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ অব্যাহত থাকায় এটি ইন্ডিয়া টুডের সম্পাদনা নীতির ব্যাপারে উদ্বেগজনক ইঙ্গিত দেয়। সংবাদ পরিবেশনের পরিবর্তে তারা এখন চাঞ্চল্য সৃষ্টির লক্ষ্যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

সেনাবাহিনী বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং গণতন্ত্র ও শান্তির নীতিগুলো দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করে যাবে। আমরা ইন্ডিয়া টুডেসহ সব গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চর্চার আহ্বান জানাই এবং অনুরোধ করি, ভিত্তিহীন ও ক্ষতিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য, যা শুধু দুই দেশের জনগণের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিভক্তি ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রতিবাদ

আপলোড সময় : ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

ইন্ডিয়া টুডের প্রকাশিত একটি মিথ্যা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লক্ষ করেছে, ইন্ডিয়া টুডে আবারও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা মিথ্যা ও বিকৃত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত বৈঠকের ওপর ভিত্তি করে রচিত, যার শিরোনাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অভ্যুত্থানের আশঙ্কায় জরুরি বৈঠক করেছে।

প্রকাশিত এই প্রতিবেদন সাংবাদিকতার নৈতিকতার চরম লঙ্ঘন এবং একসময় সম্মানজনক সংবাদমাধ্যমের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের দৃষ্টান্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিবেদনটি নির্ভরযোগ্য উৎস বা কোনো প্রমাণ ছাড়া সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানোর আরেকটি প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে। এতে প্রকাশিত তথ্যে কোনো সত্যতা নেই এবং তথাকথিত ‘অভ্যুত্থানের আশঙ্কা’ একেবারেই প্রতারণামূলক।

ইন্ডিয়া টুডে বারবার কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই সংবেদনশীল খবর প্রকাশ করছে, যা সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও সত্যনিষ্ঠতার পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়।

এটি প্রথমবার নয়, ইন্ডিয়া টুডে অতীতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে। গত ১১ মার্চ আমরা প্রকাশিত একটি বিভ্রান্তিকর ও অসত্য প্রতিবেদন খণ্ডন করে বিবৃতি দিয়েছিলাম। তবু এ ধরনের অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ অব্যাহত থাকায় এটি ইন্ডিয়া টুডের সম্পাদনা নীতির ব্যাপারে উদ্বেগজনক ইঙ্গিত দেয়। সংবাদ পরিবেশনের পরিবর্তে তারা এখন চাঞ্চল্য সৃষ্টির লক্ষ্যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

সেনাবাহিনী বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং গণতন্ত্র ও শান্তির নীতিগুলো দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করে যাবে। আমরা ইন্ডিয়া টুডেসহ সব গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার চর্চার আহ্বান জানাই এবং অনুরোধ করি, ভিত্তিহীন ও ক্ষতিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য, যা শুধু দুই দেশের জনগণের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় বিভক্তি ও অবিশ্বাস সৃষ্টি করে।