টাঙ্গাইল জেলা অ্যাডভোকেট বার সমিতির সামনে থেকে ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেকমত শিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয় বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। পরে সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য্য করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর আগে রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক তানবীর আহম্মেদ জানান, অ্যাডভোকেট বারের এক সদস্যর মৃত্যুজনিত কারণে রিমান্ডের শুনানি হয়নি। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আদালতে রিমান্ডের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। সোমবার রিমান্ডের শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সিআইডির পরিদর্শক আতাউর রহমান আকন্দ জানান, ২০১৮ সালে সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দুদিন আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ওই সহিংসতায় মালেক নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে হেকমত শিকদার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচনের পরে নিহত মালেকের স্ত্রী বাদী হয়ে হেকমত শিকদারকে প্রধান আসামি করে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ ও আরও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে টাঙ্গাইল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত ঘাটাইল থানাকে মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। ঘাটাইল থানা মামলা তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে বাদী অসন্তোষ প্রকাশ করে নারাজি দিলে আদালত জেলা গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। জেলা গোয়েন্দা বিভাগও মামলার তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। বাদী পুনরায় নারাজি দিলে আদালত জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিকে মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন। বর্তমানে মামলা সিআইডিতে তদন্তনাধীন রয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, এই মামলায় প্রধান আসামি আদালতে হাজির হননি এবং কোনো জামিন নেননি। তাই তাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তার কাছে থেকে আরও তথ্য জানার জন্য আদালতের কাছে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিনি সাগরদীঘি এলাকার অ্যাডভোকেট ফরহাদ হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি।