চার দিনের ব্যবধানে আরও ২৩টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) তুলে নিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের ওপর ফ্লোর প্রাইস থাকবে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সংস্থাটি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
আদেশে বলা হয়েছে, সোমবার থেকে ১২টি কোম্পানি ব্যতীত সব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হল। অর্থাৎ, ঐ ১২টি কোম্পানির শেয়ারের ওপর ফ্লোর প্রাইস থাকবে। এগুলো বাদে অন্যান্য কোম্পানির ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকারের ঊর্ধ্বসীমা ও নিম্ন সীমা প্রযোজ্য হবে। নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
ফ্লোর প্রাইস থাকা ১২টি কোম্পানি হলো- ব্যাট বিসি, বেক্সিমকো, বিএসআরএম, জিপি, ইসলামী ব্যাংক, কেপিসিএল, এম পেট্রোলিয়াম, ওরিয়ন ফার্মা, রেনাটা, রবি এবং এসপিসিএল।
রোববার (২১ জানুয়ারি) ফ্লোর প্রাইস ছাড়া লেনদেন শুরু হতেই প্রায় সবকটি কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ে। এতে দিনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় ২০০ পয়েন্ট কমে যায়। তবে লেনদেন শেষে সংশোধন হয়ে সূচক হারায় ৯৬ পয়েন্ট।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৩৫টি বাদে বাকি সব কোম্পানির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার কথা জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনা মহামারিতে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল বিএসইসি।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কমিশন ১২ প্রতিষ্ঠান বাদে বাকিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। কমিশন আশা করছে, এ কারণে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং বাজারে গতি ফিরবে।