বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে হাইওয়ে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোঃ মোজাম্মেল হক পুলিশের চাকরিতে সফলতার সাথে ২৪ বছর পার করেছেন। তিনি 25 জানুয়ারী 1999 সালে একজন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসাবে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন।

যদিও তিনি ১৯৯৪ সালের ৩০শে আগস্ট ভেটেরিনারি সার্জন (প্রাণীসম্পদ ক্যাডার) হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। তিনি সারাদিনের ৪ বছর ৪ মাস ভেটেরিনারি সার্জন সেবার কথা স্মরণ করেন। সব মিলিয়ে ২৮ বছর ৪ মাস সরকারি চাকরি করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের চাকরিতে ২৪ বছর চাকরি আমাদের দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব।

অবশেষে ১৫তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার পদে মনোনয়ন পেলেও অনিবার্য কারণে যোগ দিতে পারেননি। শুরুতে অনেক যন্ত্রণা পেলেও এখন এর জন্য কোনো অনুতাপ নেই সফল ডিআইজি মোজাম্মেল হকের।
তিনি সর্বশক্তিমান, পরম কল্যাণময় ও করুণাময়ের প্রতি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করেছিলেন। পরে তিনি ১৯৯৯ সালের শুরুতে ১৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে পুলিশে যোগ দেন।

দীর্ঘ ভ্রমণে তিনি একবার হিসেব করতেন চাকরি কত বছরের। এখন সে হিসেব করছে কতদিন তাকে সামনে কাজ করতে হবে। তিনি তার ব্যাচ থেকে যোগদানকারী সকল ব্যাচমেটদের প্রশংসা করেন। তাদের সততা, নিষ্ঠা, প্রতিশ্রুতি, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা ডিআইজিকে অনুপ্রাণিত করে।

তিনি বলেন, আমার বাবা, মা, স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ি, ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়স্বজন, সম্মানিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রিয় ব্যাচ মেট, সহকর্মী, দেশ-বিদেশের বন্ধু-বান্ধব, শুভানুধ্যায়ী ও হাজারো সেবা-সন্ধানীর সমর্থন ও নিঃশর্ত ভালোবাসা। কর্মক্ষেত্রে লোক খোঁজার জন্য তার পুলিশ কর্মজীবনের পথ প্রশস্ত হয়।

কর্মজীবনে তিনি সার্কেল এএসপি পঞ্চগড়, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রাজশাহী সার্কেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাটোর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজশাহী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমিল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঢাকা জেলার দায়িত্ব পালন করেন।

জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার (এসপি), বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার (এসপি), নওগাঁ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এবং ডিএমপি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ।

র‌্যাব-১৩ রংপুর বিভাগের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে এবং র‌্যাব-৪ মিরপুর ঢাকা কমান্ডিং অফিসার হিসেবে ৪ বছর ৯ মাস এই সফল পুলিশ কর্মকর্তা মাদক ও জঙ্গি তৎপরতাসহ সব ধরনের জঘন্য অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে ভূমিকা রেখেছেন।

পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৩ মাস সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করেন। ডিআইজি (হাইওয়ে) মোঃ মোজাম্মেল হক পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও সুখী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার ও তার স্ত্রী সুলতানা হকের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তার সুন্দরময় কর্মজীবনের জন্য হান্ডিয়াল নিউজ২৪ ডটকম পরিবারের পক্ষ থেকে রইল অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা।