নেকাব খুলতে রাজি না হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীর সেমিস্টার ফাইনালের ভাইভা দেড় মাস ধরে আটকে ছিল। অবশেষে আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় উপাচার্যের নির্দেশে সেই ছাত্রীর ভাইভা গ্রহণ করা হয়।
ভাইভার আগে পৃথক কক্ষে দুই নারী শিক্ষকের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে, গত ১৩ ডিসেম্বর পুরুষ শিক্ষকদের সামনে নেকাব খুলতে অসম্মতি জানানোয় সেমিস্টার ফাইনালের ভাইভা নেওয়া হইনি তার। এর প্রতিবাদে দুই দফায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে ভিসির নির্দেশে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) নারী শিক্ষকের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করে তার ভাইভা নিয়েছেন শিক্ষকরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগের সভাপতি শিক্ষক শিমুল রায়। তিনি বলেন, ভাইভা ঠিকমতো সম্পন্ন হয়েছে। ভাইভার আগে নারী শিক্ষকের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এর আগে ভিসি স্যার আমাদের ডেকে ভাইভা নিতে বলেছিলেন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, বিভাগের পক্ষ থেকে নেকাব না খোলার আশ্বাস পেয়ে ভাইভাতে অংশগ্রহণ করেছি। ভাইভা ঠিকঠাক মতোই হয়েছে। বোর্ডে স্যার ম্যামরাও অনেক আন্তরিক ছিলেন। ভবিষ্যতে অন্য কারোর সঙ্গে যেন এইরকম না ঘটে সেটাই আমার চাওয়া।
গত ১৩ ডিসেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের ভাইভায় নেকাব পরে অংশ নেয় এক ছাত্রী। এ সময় ভাইভা বোর্ডের শিক্ষকরা তার পরিচয় নিশ্চিতের জন্য নেকাব খুলতে বলেন। এ সময় ওই ছাত্রী নেকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানান এবং প্রয়োজনে নারী শিক্ষকদের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাকে ভাইভা বোর্ডের সদস্যদের সামনে নেকাব খুলতে বলা হয়। পরে নেকাব না খোলায় তার ভাইভা নিতে অস্বীকৃতি জানান শিক্ষকরা।