ঢাকা , বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

অনার্স পড়ুয়া ভাগ্নের হাত ধরে মামি উধাও

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার অনার্স পড়ুয়া ভাগ্নে আরাফাত প্রামণিকের (২০) হাত ধরে পালিয়েছেন এক সন্তানের জননী। সম্পর্কে তিনি ওই যুবকের মামি। দীর্ঘদিনের এই প্রেমের স্বীকৃতি দিতে কোলের সন্তানকে নিয়ে প্রেমিক ভাগ্নের সঙ্গে অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জমিয়েছেন। সম্প্রতি এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে ঘটনার বিষয়ে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পলাশবাড়ী উপজেলার মহোদীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোপালপুর গ্রামের খাজা মিয়ার মেয়ে শাপলা খাতুনের সঙ্গে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের মৃত সফিয়াজ্জামানের ছেলে হারুন অর রশিদ শাহিনের বিয়ে হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৩ বছর বয়সী একটি শিশুকন্যা রয়েছে। এরই মধ্যে কাজের তাগিদে শাহিন মিয়া বাড়িতে না থাকার সুযোগ তার আপন ভাগ্নে ও ধাপেরহাট ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া গ্রামের রেজা প্রামাণিকের অনার্স পড়ুয়া ছেলে আরাফাত প্রামাণিক প্রায়ই বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন। এ সুবাদে মামি শাপলা বেগমের প্রেমে জড়িয়ে পড়েন ভাগ্নে আরাফাত।

এক পর্যায়ে এই প্রেমের স্বীকৃতি দিতে গত ৮ এপ্রিল শাপলা বেগম তার শিশু সন্তানকে নিয়ে প্রেমিক ভাগ্নে আরাফাতের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জমিয়েছেন। আর এ ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে চলে যায়।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভুক্তভোগী হারুন অর রশিদ শাহিন বলেন, ঘটনার দিন আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার ঘরে থাকা গচ্ছিত টাকা, স্বর্ণালংকার ও শিশু সন্তানকে নিয়ে আরাফাতের সঙ্গে পালিয়ে গেছে শাপলা। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত আরাফাত প্রামাণিক ও তার বাবা রেজা প্রামাণিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, শাপলা বেগম নামের এক গৃহবধূ তার ভাগ্নের সঙ্গে অন্যত্র চলে গেছেন। ঘটনাটি আমি লোকমুখে শুনেছি।

গাইবান্ধা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুস ছালাম বলেন, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) আমার মক্কেল হারুন অর রশিদ তার স্ত্রী শাপলা বেগমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে সাড়ে ৫ লাখ টাকা ও ২ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের গহনা নিয়ে পালানোয় কথা উল্লেখ রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

অনার্স পড়ুয়া ভাগ্নের হাত ধরে মামি উধাও

আপলোড সময় : ১০:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার অনার্স পড়ুয়া ভাগ্নে আরাফাত প্রামণিকের (২০) হাত ধরে পালিয়েছেন এক সন্তানের জননী। সম্পর্কে তিনি ওই যুবকের মামি। দীর্ঘদিনের এই প্রেমের স্বীকৃতি দিতে কোলের সন্তানকে নিয়ে প্রেমিক ভাগ্নের সঙ্গে অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জমিয়েছেন। সম্প্রতি এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে ঘটনার বিষয়ে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পলাশবাড়ী উপজেলার মহোদীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোপালপুর গ্রামের খাজা মিয়ার মেয়ে শাপলা খাতুনের সঙ্গে সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের মৃত সফিয়াজ্জামানের ছেলে হারুন অর রশিদ শাহিনের বিয়ে হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। দাম্পত্য জীবনে তাদের ৩ বছর বয়সী একটি শিশুকন্যা রয়েছে। এরই মধ্যে কাজের তাগিদে শাহিন মিয়া বাড়িতে না থাকার সুযোগ তার আপন ভাগ্নে ও ধাপেরহাট ইউনিয়নের তাঁতীপাড়া গ্রামের রেজা প্রামাণিকের অনার্স পড়ুয়া ছেলে আরাফাত প্রামাণিক প্রায়ই বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন। এ সুবাদে মামি শাপলা বেগমের প্রেমে জড়িয়ে পড়েন ভাগ্নে আরাফাত।

এক পর্যায়ে এই প্রেমের স্বীকৃতি দিতে গত ৮ এপ্রিল শাপলা বেগম তার শিশু সন্তানকে নিয়ে প্রেমিক ভাগ্নে আরাফাতের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জমিয়েছেন। আর এ ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে চলে যায়।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভুক্তভোগী হারুন অর রশিদ শাহিন বলেন, ঘটনার দিন আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার ঘরে থাকা গচ্ছিত টাকা, স্বর্ণালংকার ও শিশু সন্তানকে নিয়ে আরাফাতের সঙ্গে পালিয়ে গেছে শাপলা। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত আরাফাত প্রামাণিক ও তার বাবা রেজা প্রামাণিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, শাপলা বেগম নামের এক গৃহবধূ তার ভাগ্নের সঙ্গে অন্যত্র চলে গেছেন। ঘটনাটি আমি লোকমুখে শুনেছি।

গাইবান্ধা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুস ছালাম বলেন, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) আমার মক্কেল হারুন অর রশিদ তার স্ত্রী শাপলা বেগমকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে সাড়ে ৫ লাখ টাকা ও ২ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের গহনা নিয়ে পালানোয় কথা উল্লেখ রয়েছে।